নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবারের রাত থেকেই দিল্লিতে ১৮৪ সাউথ অ্যাভিনিউকে ঘিরে নানা আলোচনা শুরু হয়। কারণ দিল্লির রাজনীতিতে এই বাংলোকে ঘিরেই মূল আলোচনা চলবে আগামী চারদিন। খাতায় কলমে সাংসদ হিসেবে এই বাংলোটি রয়েছে অভিষেকের নামে। সেখানেই সোমবার রাতে গিয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গতকাল রাতেই অভিষেকের বাড়িতে আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। জানা যায়, সাউথ অ্যাভিনিউ এলাকায় সাংসদ পাড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় রাজনীতির মূল আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ১৮৪ সাউথ অ্যাভিনিউ।
মঙ্গলবারের সকাল থেকেই চলছে একাধিক জাতীয় স্তরের নেতা ও ব্যক্তিতের আনাগোনা। আর বেলা যতই বেড়েছে ততই উত্তাপ বেড়েছে অভিষেকের বাংলোকে ঘিরে। কারণ এই জায়গা থেকেই আগামী দিনের দিল্লির রাজনীতির ব্লুপ্রিন্ট সাজাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে একুশের ভোটে রেকর্ড জয়ের পর দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই সরগরম হয়েছিল অভিষেকের বাংলো। হাজির হয়েছিলেন একাধিক জাতীয় স্তরের নেতা, কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ নেতারাও। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। কিন্তু নভেম্বরের শীতে দিল্লিতে উত্তাপ বাড়াচ্ছে ১৮৪ সাউথ অ্যাভিনিউ। দিল্লি সফরের শুরুতেই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গীতিকার জাভেদ আখতার, আলোচনা হয় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। চমক দিয়ে মমতা সাক্ষাতে আসেন সুধীন্দ্র কুলকার্নি। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বড় কুশলি ছিলেন সুধীন্দ্র। সামলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর দফতর। লালকৃষ্ণ আডবাণীর উপদেষ্টাও ছিলেন সুধীন্দ্র। তাঁর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ নতুন ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের রাজনীতিতে।
তারপরেই বেলা গড়াতেই শুরু হয় যোগদান মেলা। একে একে তৃণমূলে আসেন প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন ভর্মা, কংগ্রেসের হরিয়ানা শাখার যুবনেতা অশোক তানওয়ার ও প্রাক্তন বিশ্বকাপার ও সাংসদ কীর্তি আজাদ। সারাদিনের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় ১৮৪ সাউথ অ্যাভিনিউ-এর বাড়িতে। মঙ্গলবারের মত সেই ব্যস্ততা কমলেও বুধবার আবার কী হয় তার দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।