নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যাতেই দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার ৯৩/১ নম্বর ফ্ল্যাটের কলিং বেল বেজে উঠত৷ দরজা খুলে দিতেন আফতাব আমিন পুনেওয়ালা৷ ঘরে ঢুকে যেতেন এক তরুণী ৷ বন্ধ হয়ে যেত আফতাবের ঘরের দরজা ৷ চলত সঙ্গম ৷ অথচ, ঘরের মধ্যে ফ্রিজে রাখা রয়েছে প্রেমিকা শ্রদ্ধা বিকাশ ওয়ালকারের দেহের টুকরো।
দরজার ঠিক পাশেই ফ্রিজটি ছিল। আফতাবের শয্যাসঙ্গিনী ওই তরুণীর ধারণাও ছিল না, ওই ফ্রিজের ভিতরেই তাঁরই সমবয়সি একজন তরুণীর টুকরো টুকরো করা দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখা রয়েছে৷ পুলিশের অবশ্য দাবি, একা ওই তরুণী নন, নিজের লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়ে আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে সময় সঙ্গমে মাতত আফতাব৷ ডেটিং অ্যাপ থেকে তরুণী জোগাড় করত সে। কিন্তু সেই সব তরুণীরা কেউ এই ভয়ঙ্কর সত্যিটা জানতে পারেননি৷ এর পাশাপাশি আফতাবের বন্ধু, ফুড ডেলিভারি বয় সহ আরও অনেকেই ওই ফ্ল্যাটে এসেছেন গত কয়েক মাসে৷ আফতাব কতটা নৃশংস, তাঁরাও কেউ টের পাননি৷
তবে কয়েকটি বিষয় প্রত্যেকেরই নজরে পড়েছিল৷ যেমন আফতাবের ফ্ল্যাটের ভিতরে সবসময় একাধিক ধূপকাঠি জ্বলত৷ নাকে আসত রুম ফ্রেশনারের জোরালো গন্ধ৷ পচা, দুর্গন্ধ চাপা দিতে ঝাঁঝালো রাসায়নিকের গন্ধও আসত ফ্ল্যাটে আসা অতিথিদের নাকে৷ ফ্রিজে রাখা নিজের বান্ধবীর দেহের দুর্গন্ধ চাপা দিতেই যে আফতাব এত আয়োজন করেছিল, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ৷