নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: শালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশই লাফিয়ে বাড়ছে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গুরুতর জখম আরও একাধিক যাত্রী। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন রেল আধিকারিকরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিতে আরও ৭০০’র বেশি যাত্রী আটকে রয়েছেন। অন্ধকারের ফলে উদ্ধারকার্যে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে মালগাড়ির ধাক্কায় শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০ থেকে ১২টি কামরা লাইনচ্যূত হয়। ওই সময়েই হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস আসছিল উল্টো দিকের লাইন ধরে আসছিল। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া কামরার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে বেলাইন হয়ে যায় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি বগি।’ বিকট শব্দ আর যাত্রীদের আর্ত চিৎকার শুনে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কোনও ক্রমে যাত্রীদের উল্টে যাওয়া বগি থেকে বের করে স্থানীয় হাসপাতালে ও বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘
পরে পুলিশ, এনডিআরএফ এবং দমকল কর্মীরা এসে পুরোদমে উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গ্যাস কাটার দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগি থেকে যাত্রীদের নিথর ও রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত যাত্রীদের আশেপাশের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গুরুতর জখম যাত্রীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৫০ যাত্রী মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন আরও ৩৬৫ যাত্রী। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল দফতর।