নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: মোরবি সেতু ভেবে পড়ার ঘটনায় সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ওরেভা গোষ্ঠীর কর্ণধার জয়সুখ পটেল অবশেষ আত্মসমর্পণ করলেন। মঙ্গলবার দুপুরে মোরবির মুখ্য দায়রা বিচারকের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ঘটনার পরেই রাজকোট পুলিশের আর্জি মেনে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন ওরেভা গোষ্ঠীর কর্ণধার। গত সপ্তাহেই পুলিস সেতু বিপর্যয় নিয়ে চার্জশিট দাখিল করে। ওই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল জয়সুখ পটেলের।
সংস্কারের পর গত বছরের ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছিল গুজরাতের মোরবি ঝুলন্ত সেতুটি। কিন্তু খুলে দেওয়ার চার দিন বাদে ৩০ অক্টোবর মাচ্ছু নদীর উপরে থাকা ঝুলন্ত সেতুটি আচমকাই ভেঙে পড়ে ১৩৫ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই অভিযোগ ওঠে, সেতু সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ওরেভা গোষ্ঠীর গাফিলতির কারণেই এত মানুষের অকালমৃত্যু ঘটেছে। দুর্ঘটনার পরেই সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন ওরেভা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখ পটেল। ১৩ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতারের আশঙ্কায় গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত। উল্টে অবিলম্বে ওরেভা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২৭ জানুয়ারি মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে আদালতে ১,২৬২ পাতার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ওই চার্জশিটে জয়সুখ পটেলকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরে যেহেতু জামিন পাওয়ার পথ আনেকটাই প্রশস্ত হয়, তাই হিসেব কষেই এদিন আত্মসমর্পণ করেছেন জয়সুখ পটেল।