-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 2:57 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: বিলকিস বানোর গণধর্ষণকারীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। তার মধ্যেই ২০০২ সালে গোধরার নারকীয় দাঙ্গার সময়ে মুসলিম মহিলাদের গণধর্ষণ ও গণহত্যায় অভিযুক্ত ২৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিল গুজরাতের এক নিম্ন আদালত। গত শুক্রবার পঞ্চমহল জেলার হালোলের অতিরিক্ত বিচারক লীলাবাই চুদাসামা গণধর্ষণ ও গণহত্যায় অভিযুক্তদের জামিন দিতে যে কারণ দেখিয়েছেন তাতে বিস্মিত আইনজীবীরা। মামলায় অভিযুক্ত ১৩ আসামির মৃত্যুর কারণে বাকি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের কথা উল্লেখ করেছেন।
২০০২ সালের পয়লা মার্চ গোধরা দাঙ্গার সময়ে গান্ধিনগরের কলোলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই সম্প্রদায়। ওই সংঘর্ষের সময়েই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে আশ্রয় নেরওয়ার জন্য দেলোল থেকে কলোলে আসছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ৩৮ জন। কলোলের কাছে ওই দলের ওপরে হামলা চালানো হয়। দলে থাকা এক মুসলিম মহিলাকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। পরের দিন দোসরা মার্চ মোট ৩৯ জনের নামে মামলা রুজু করে গান্ধিনগর পুলিশ।
গত দুই দশক ধরে হালোল আদালতে মামলা চলছিল। বিচার চলাকালীনই ১৩ অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। ভীতি প্রদর্শনের কাছে সরকার পক্ষের অনেক সাক্ষী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে উল্টো বয়ান দেন। শুক্রবার মামলার ২৬ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়ার কথা জানান বিচারক লীলাবাই চুদাসামা। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নির্যাতিতের পরিবারের সদস্যরা।