নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় কথায় বিজেপির(BJP) নেতারা বাংলার(Bengal) বুকে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে(Law and Order Break) পড়ার অভিযোগ তোলেন। বার বার দাবি তোলেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন(Presidential Rule) জারি করার। অথচ যোগী আদিত্যনাথের(Yogi Adityanath) রাজত্বকালে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) আইনশৃঙ্খলার অবনতি কতটা হয়েছে সেটা নিত্যদিন দেশ দেখতে পাচ্ছে। এবার তো খোদ পুলিশের ঘেরাটোপে, পুলিশের চোখের সামনে, পুলিশের হেফাজতে থাকা মাফিয়া আতিক আহমেদ খুন হয়ে গেলেন ৩ খুদে ভাবি মাফিয়া ডনের হাতে। এই ঘটনা এদিন স্তম্ভিত করে দিয়েছে গোটা দেশকে। সেই ঘটনার পরে আবার ৩ খুদে ডনকে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে। ঘটনার জেরে যোগী প্রশাসন উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি ১৫০জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী ও আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু এই ঘটনার জেরে যে ধাক্কা যোগী সরকার খেয়েছে তা চট করে হজম করা মুশকিল। ঠিক এই অবস্থায় এদিন বাংলায় বসে যোগী প্রশাসনকে বিঁধেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুল-কলেজে ছুটি
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক। এটা লজ্জাজনক যে অপরাধীরা এখন আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, মিডিয়ার উপস্থিতিতে আর পুলিশের নির্লিপ্ততার মাঝে। আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এ ধরনের বেআইনি কাজের কোনও স্থান নেই।’ কার্যত মমতার এই সুরে সুর মিলিয়ে দেশের প্রায় সব বিজেপি বিরোধী নেতারাই ট্যুইট করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি ও যোগী প্রশাসনকে। ডবল ইঞ্জিনের এই রাজ্যে যে আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে সেটা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এর পাশাপাশি এখন নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, এই খুনের ঘটনার পিছনে আসল মাস্টারমাইন্ড কে? সে কী গেরুয়া শিবিরেরই কেউ? ওয়াকিবহাল মহলের কিন্তু ধারনা গোটা ঘটনাই গেরুয়া শিবিরের পরিকল্পনায় হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাই জানতেন। এমনকি আতিক নিজেও খুন হওয়ার দিন দুই আগেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
