নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল ত্রিপুরাতে পুরভোট, বিগত কিছু মাস ধরেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সন্ত্রাসের খবর সামনে এসেছে। বারবার আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী থেকে নেতারা। গত শনিবার সেই মাত্রা বেড়ে যায়। গ্রেফতার হন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। পুরভোটেই ফের অশান্তি বাড়তে পারে। তাই আগের দিনই পাল্টা চাপ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নালিশ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময় মতোই বুধবার বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ত্রিপুরার সন্ত্রাস নিয়ে নালিশ জানান তিনি।
ত্রিপুরা পুরভোট নিয়ে যেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না বিপ্লবের সরকার। বারবার আক্রান্ত হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীরা। ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভোট দেওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন, পুলিশের সামনেই হামলা চলছে। থানায় হেলমেট পরে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়েই নালিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী খোদ ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ নির্বাচনের কথা বলেই সেখানে কীভাবে এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাঁরই দল প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। যদিও ত্রিপুরা পুরভোটে আর সন্ত্রাস হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই জানিয়েছেন মমতা।
এই একই ইস্যুতে গত সোমবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তরফে সময় না দেওয়া হলে ধর্নায় বসে যান তৃণমূল সাংসদরা। তারপরে ধর্নার চাপে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন শাহ। ত্রিপুরার সন্ত্রাস নিয়ে শাহের কাছে নালিশ জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ডেরেক ও ব্রায়েনরা। যার ভিত্তিতে অমিত শাহ জানান, ত্রিপুরায় আর সন্ত্রাস হবে না। রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরভোট নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশাল বাহিনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ ও ত্রিপুরা রাইফেলসের সশস্ত্র বাহিনী।