27ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 9:44 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, তিরুঅনন্তপুরম: ২৯ বছর আগে শরিয়ত আইন মেনে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছিলেন মালায়ালি অভিনেতা তথা আইনজীবী সি শুক্কুর ও অধ্যাপক শিনা। তিন মেয়েকে নিয়ে সুখেই চলছিল ঘর সংসার। আচমকাই ফের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন শুক্কুর-সিনা যুগল। আজ বুধবার তিন মেয়ের উপস্থিতিতেই সেরে নিলেন দ্বিতীয়বার বিয়ে। আর শুক্কুর-সিনার দ্বিতীয়বার বিয়ের খবর নিমিষেই গোটা দেশের খবরের শিরোনামে উঠে এলো। বলতে গেলে টক অফ দ্য কান্ট্রি।
কিন্তু কেন ২৯ বছর বাদে ফের ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে ঘটা করে দ্বিতীয়বার বিয়ে সারলেন শুক্কুর দম্পতি? তাও নারী দিবসে? আসলে তাঁদের অবর্তমানে তিন মেয়েই যাতে পুরো সম্পত্তির ভাগ পান তার জন্যই এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সি শুক্কর ও তাঁর স্ত্রী। ১৯৯৪ সালে প্রথম বার শরিয়ত আইনে (মুসলিম ব্যক্তিগত আইন) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দুজনে। ওই আইন অনুযায়ী, মেয়েরা তাঁদের বাবার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশেরই অধিকারী হবেন। পুত্র না থাকায় বাকি সম্পত্তি চলে যেত শুক্কুরের ভাইদের কাছে।
তাঁদের সম্পত্তি যাতে তিন মেয়ের কাছে যায়, তা নিশ্চিত করতেই বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন শুক্কুর ও তাঁর স্ত্রী। বিশেষ বিবাহ আইন অনুযায়ী, যে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি ‘ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন’ অনুযায়ী ভাগ করা যাবে। বিয়ের পরে কেরলের এক সংবাদমাধ্যমকে সি শুক্কুর বলেন, ‘সম্প্রতি দু’বার আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আর তার পর থেকেই মাথায় একলটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে, পরিশ্রম করে যা অর্জন করেছি, তা আমার মেয়েরা ভোগ করতে পারবে তো? শরিয়ত আইন অনুযায়ী, মেয়েরা পিতার সব সম্পত্তির ভাগীদার হতে পারেন না। তাই আমি দ্বিতীয় বার বিয়ে করি। ভারতের সংবিধানে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’