নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবারই তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাসতালুক গুজরাতের নিম্ন আদালত। যদিও উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের জেলের সাজা হওয়ায় রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর ওই পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত সংসদ চত্বরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সূত্রের খবর, সংসদের বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে লোকসভায় তিনি থাকবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজীব তনয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালত তাঁকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনানোর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাহুল। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া হবে। গুজরাত হাইকোর্টে স্বস্তি না পাওয়া গেলে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়া হবে। ওই বৈঠকেই রাহুল জানিয়ে দেন, উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত না রাখা পর্যন্ত সংসদে যাবেন না তিনি। কেননা, সংসদে তিনি গেলে বিজেপি সাংসদরা ব্যক্তিগত আক্রমণ চালাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন।
সাজাপ্রাপ্ত দলের প্রাক্তন সভাপতির পাশেই দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। এদিন দলের মুখপাত্র পবন খেড়া জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাহুল গান্ধিকে জেলের ভয় দেখিয়ে চুপ করানো যাবে না। সুরাতের নিম্ন আদালতের রায় লঘু পাপে গুরুদণ্ড ছাড়া আর কিছু নয়। দল তাঁর পাশে রয়েছে এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।’