নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবার টানা ২০ দিন জীবনযুদ্ধে লড়াইয়ের পর মারা যান অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বাংলা। টলিউডের একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ছিলেন ঐন্দ্রিলা, তাঁর অভিনীত ৫ টি ধারাবাহিকই সুপারহিট হয়েছিল। অভিনয়ের থেকেও বেশি মানুষের মনে চিরকাল থেকে যাবে, সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার অটুট প্রেমের গল্পগুলি। অনেক চেষ্টাই করেছিলেন প্রেমিকাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে, কিন্তু সব মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সব্যসাচী ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর পুরোনো ভিডিওগুলি এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। তবে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর সব্যসাচী কে নিয়ে অনেক ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে চারিদিকে। যার মধ্যে রয়েছে, সব্যসাচী চৌধুরী অসুস্থ। ঐন্দ্রিলা শর্মা চলে যাওয়ার পর তিনিও শয্যা নিয়েছেন। আসলে, ঐন্দ্রিলা অসুস্থ থাকাকালীনই নিজেকে সমাজমাধ্যম থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন সব্যসাচী, সেই কারণে তাঁকে ঘিরে একাধিক গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি অভিনেতার বন্ধু তথা ওয়েব কিং সৌরভ দাস।
আগেও তিনি সব্যসাচীর অনেক খবর শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।এবার সৌরভ একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়েই লিখলেন, “সব্যসাচী সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি এবং থাকব।” যোগ করেন, যাঁরা ভুয়ো খবর রটাচ্ছেন, তাঁরা নিজেরাই অসুস্থ, বিব্রত হবেন না। ঐন্দ্রিলা মৃত্যুর শোক সামলে উঠতে না উঠতেই এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত সৌরভ। তিনি আরও বলেন, গালিগালাজ দিয়ে পোস্টটি নোংরা করছি না। সব্যসাচী ভাল আছেন— সবাইকে শুধু এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইল। তবে এখানেই শেষ নয়, পোস্টের শেষে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন সৌরভ। যদি এরপরেও ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়, সে ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সৌরভের অনুরোধ, “দয়া করে পরিবার পরিজনকে শান্তিতে থাকতে দিন।” তবে প্রিয়জনকে হারিয়ে সব্যসাচী কেমন আছেন? একটি বেসরকারি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, সব্য ভেঙে পড়েছে। কঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। আজ তাঁকেই সামলাতে হবে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে। সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবে না। যদি কেউ আশা করে, ফেসবুকে কোনও পোস্ট দেবে সব্য, তা আর হবে না।