নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্ধুর পাশে বন্ধু। দুর্দিনে বন্ধুকেই পাশে পাওয়া যায়। আর নিজের বন্ধুর জন্য মৃত্যুর দিকেও নিজেকে ঠেলে দিতে পারেন সলমন খান। গত শনিবার গভীর রাতে ক্রুজে রেভ পার্টি চলাকালীন নিষিদ্ধ মাদক সেবনের জন্য আটক করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। তারপরেই এনসিবির আবেদনের ভিত্তিতে একদিনের হেফাজতে রেখে তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হয়েছেন আটজন অন্য ব্যক্তি। আর এই দুর্দিনে শাহরুখ খানের পাশে দাঁড়াতে মন্নত গেলেন সলমন খান। জানা গিয়েছে, আজ রাতে আচমকাই শাহরুখেত মন্নতের বাইরে দেখা যায় সলমন খানের গাড়ি। সবার আড়ালেই শাহরুখের ঘরে সোজা ঢুকে যান বলিউডের ভাইজান।
নিজের রেঞ্জ রুভারের গাড়িতে সামনের সারিতে বসেই সোজা শাহরুখের বাড়িতে হাজির হন সলমান খান। শাহরুখ খান তাঁর আগামী ছবি ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। আজই স্পেন উড়ে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের। কিন্তু আরিয়ানের মাদক কাণ্ডে সমস্ত কাজ আপাতত বন্ধ বাবা শাহরুখের। ক্রুজের মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে একদিনের এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মুম্বই থেক গোয়া যাওয়া ক্রুজে পার্টি চলত। আর তাতেই নিষিদ্ধ মাদকের আসর বসত। সেই রেভ পার্টিতে অংশগ্রহণ করত বলিউডের তাবড় তারকার ছেলে কিংবা বড় বড় ব্যবসায়ীক পরিবারের ছেলেরা। যার মধ্যে গতকাল রাতেই গ্রেফতার হন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। টানা ১৬ ঘণ্টা এনসিবি আধিকারিকদের মুখে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান নিষিদ্ধ মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে। আর তারপরেই আরিয়ান সহ বাকি ৮ জনকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করে এনসিবি। সেখানেই আদালতের তরফে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত শাহরুখ পুত্রকে এনসিবির হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনের ক্ষেত্রেও একই রায় দিয়েছে আদালত।
এনডিপিএস আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। আরিয়ানের সঙ্গে মিলেছে নিষিদ্ধ মাদক ও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস সঙ্গে ছিল আরিয়ানের। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করবার পর এদিন জেজে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় আরিয়ানের। আপতত এনসিবির ব্যালাড এস্টটেটের অফিসে রয়েছেন শাহরুখ খান পুত্র। এদিন আরিয়ান ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং দিল্লির ফ্যাশন ডিজাইনার মুনমুন ধামেচাকে। এই তিনজন ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে নুপূর সারিকা, ইশমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকার, গোমিত চোপড়ার। প্রত্যেকেই বিত্তশালী পরিবারের সন্তান। মোহক, নুপূর ও গোমিত তিনজন দিল্লির বাসিন্দা, বাকিরা থাকেন মুম্বইয়ে। তালিকায় রয়েছেন আরও এক স্টারকিড।
এনসিবির তরফে আইনজীবি অদ্ভীত শেঠনা আদালতের কাছে দু’দিনের হেফাজতের আর্জি জানায়। কিন্তু আরিয়ানের আইনজীবি তথা বিখ্যাত কুচক্রী উকিল সতীশ মানসিন্ডে একদিনের এনসিবি হেফাজতের আর্জি জানায়। আর তাতেই সম্মতি দেয় আদালত। অন্যদিকে, আরিয়ানের পাশাপাশি মাদক-কাণ্ডে আটক আরও এক স্টার কিড। আরবাজ শেঠ মার্চেন্টকে আটক করেছে এনসিবি। তল্লাশি চালিয়ে আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের কাছ থেকে মাদক পেয়েছে পুলিশ। এর আগে বহুবার স্টার কিডদের সঙ্গে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। আরিয়ানের সঙ্গেও অভিনেতার সুসম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।