নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি, অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি এবং অভিনেত্রী মেঘান মার্কেলের (Meghan, Duchess of Sussex) বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের ঠিক কয়েকদিন আগেই, বাকিংহাম প্যালেসের তিনজন ডাচেস সাসেক্সের প্রাসাদ কর্মীদের ধমকানোর অভিযোগে মেঘান মার্কেলকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রী তাঁর দুই ব্যক্তিগত সহকারীকে কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং তৃতীয় কর্মীকে “অপমান” করেছিলেন। এরপর মেঘান মার্কেলের বিরুদ্ধে উৎপীড়নের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ফলে মার্চ ২০২১ সালে বাকিংহাম প্যালেস তদন্ত হয়েছিল, যদিও ব্যক্তিগতভাবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অর্থায়নে এবং একটি স্বাধীন আইন সংস্থার নেতৃত্বেই এই প্যালেসের তদন্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই তদন্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিল, যার ফলাফল কখনই প্রকাশ করা হবে না বলে জানা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, মেঘান মার্কেল গত বছর সাসেক্সের মুখপাত্র দ্য ডিউক এবং ডাচেসের মাধ্যমে ধমকানোর অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিলেন। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ পাওয়া মাত্রই, অভিনেত্রীর ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে সমর্থন করেছেন। এবং তাঁদের দাবি, প্রতিবেদনটির কোনো বাস্তবতা নেই, কারণ মেঘান মার্কেল যথেষ্ট ‘সদয় ব্যক্তি’। মেঘান ২০১৮ সালে ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করেছিলেন। রিপোর্ট অনুসারে, মেঘান বাকিংহাম প্যালেসের দুই সিনিয়র স্টাফ সদস্যকে উত্যক্ত করার জন্য দায়ী ছিলেন। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি একজন রাজপরিবারের সদস্য হয়ে এরকম কাজ করতে পারেননা। আর এই প্রতিবেদনটি ফাঁস হওয়ার পরপরই, কর্মীদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রাসাদের ‘নীতি ও পদ্ধতি’ পরিবর্তন করা হয়।
যাইহোক, মেঘানের সমর্থকরা দাবি করেছেন যে, রানি এলিজাবেথের অর্থায়নে এবং প্রবর্তিত উৎপীড়নমূলক প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফাঁস হওয়া অবৈধ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরেই অভিনেত্রীর সমর্থকরা টুইটারে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,”যারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কাজ করেছেন তাঁরা জানেন যে, অভিনেত্রী কতটা দয়ালু এবং বিবেচনাশীল ব্যক্তি।” অন্যদিকে আরেকজন বলেছেন, “মেগানের বিয়ের আগে থেকে তাঁর সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলার নেই। কিন্তু তিনি এমন একটি পরিবারে বিয়ে করেছেন, যাঁরা ইতিহাসে গালাগালি, পিঠে ছুরি আঘাত, কারসাজি এবং ঈর্ষার জন্যে বিখ্যাত।
তবে মেঘান মার্কেল এবং তাঁর স্বামী প্রিন্স হ্যারি, সাসেক্সের ডিউক, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপরে উভয়ই Netflix এবং Spotify এর মত অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করার আগে, মেঘান একজন অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি বেশ কয়েকটি শো এবং চলচ্চিত্রে উপস্থিত ছিলেন। শোনা গিয়েছে, এই রাজকীয় দম্পতি যখন যুক্তরাজ্যে প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন, তখন রানী এলিজাবেথ প্রিন্স হ্যারি এবং মেঘান মার্কেলের মেয়ে লিলিবেট ডায়নার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যদিও রানী প্রপৌত্রীর সঙ্গে অল্প সময়ের জন্যে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আসলে তাঁর বেশিক্ষণ বসে থাকার মতন শক্তি ছিল না। ৯৬ বছর বয়সী রাজা প্রিন্স হ্যারি, মেগান মার্কেলের মেয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন ৪ জুন ২০২২, এখন তাঁদের মেয়ের বয়স ১ বছর। তবে তাঁদের সঙ্গে তাঁদের ৩ বছরের ছেলেও ছিল।
