নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অজানা তথ্য জানতে আমরা সবসময়েই উদগ্রীব হয়ে থাকি। আর রঙিন জীবনের অধিকারী তারকাদেরও জীবনের ভুরি ভুরি গল্প। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব, সবটাই যে লোভনীয়। হ্যাঁ, আজ এমনই বলিউডের স্বর্ণালী যুগের দুজন কিংবদন্তীর প্রেমের কথা জানাবো আপনাদের। ১৯৬৪ সালে ‘সঙ্গম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ কাপুর এবং বৈজন্তীমালা। ছবিতে তাঁদের এত সুন্দর রসায়ন দেখে চারদিকে গুজব ছড়িয়েছিল যে, এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রেম করছেন। এমনকি এটাও গুজব উঠেছিল যে, রাজ কাপুর নাকি বৈজয়ন্তীমালাকে তাঁর বাচ্চাসহ বিয়েও করে নিয়েছিলেন। যা কাপুর পরিবারে সেই সময়ে রীতিমতো একটি বিশাল ফাটলের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজ কাপুর নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের সম্পর্কের গুজব একেবারেই মিথ্যা। অন্যদিকে বৈজয়ন্তীমালাও রাজ কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছিলেন। আর এটা সম্পূর্নটাই ছবির প্রচারের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছিল। যা রীতিমতো ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল।
বৈজয়ন্তীমালা তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন যে, রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ভিত্তিহীন, যা তাঁকে খুব রাগান্বিত করেছিল। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের ছবি সঙ্গম তৈরি করতে চার বছর লেগেছিল। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময়েই তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে রাজ কাপুর কখনই “নারীদের সম্পর্কে আচ্ছন্ন ছিলেন না। তাঁর মতো একজন সুন্দর ব্যাক্তিত্বের পুরুষের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে, যে কেউ প্রেমে পড়তে পারে।” পরবর্তীতে রাজ কাপুরের ছেলে প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর জানিয়েছিলেন যে, বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে তাঁর বাবার মিথ্যে গুজব শোনার পর, তাঁর মা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি খুব ছোট ছিলাম যখন নার্গিসজির সঙ্গে আমার বাবার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে বাবা যখন বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিলেন তখন আমি মায়ের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে গিয়েছিলাম, আমার মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, রাজ কাপুর যতক্ষন না এই সম্পর্ক শেষ করছে, তিনি হাল ছেড়ে দেবেন না৷” ঋষি এও বলেছিলেন যে, বৈজয়ন্তীমালা তাঁর বাবার সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন৷ তিনি লিখেছেন, “কয়েক বছর আগে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বৈজয়ন্তীমালা আমার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, সঙ্গম ছবির জনপ্রিয়তার স্বার্থেই তাঁরা রোম্যান্সটি তৈরি করেছিলেন। তখন আমি খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। কারণ বৈজয়ন্তীমালা বলেছিলেন যে রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুজব একমাত্র একটি ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ ছিল, কিন্তু আমি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলাম যে ‘তথ্য বিকৃত করার অধিকার তার নেই’!”
