নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে থাকার জন্য যাতে স্ত্রীদের মধ্যে যাতে ঝামেলা না হয়, তার জন্য একটি অভিনব ‘চুক্তি’ মেনে চলেন তাঁরা। সপ্তাহে তিন দিন এক স্ত্রীর সঙ্গে, আর তিন দিন অপর স্ত্রীর সঙ্গে সময় ভাগ করে নেন যুবক স্বামী। আর রবিবার তিনি যে স্ত্রীর কাছে থাকতে ইচ্ছে করে সেখানে থাকেন। ঘটনাটি হরিয়ানার সীমান্তবর্তী দিল্লির গুরুগাঁও শহরের।
যদিও হিন্দু আইন অনুসারে তাদের মধ্যে এমন ‘চুক্তি’কে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন হরিশ দিওয়ান নামের এক আইনজীবী। ওই আইনজীবী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন গোয়ালিয়রে স্ত্রীকে রেখে গুরুগাঁওতে এক মহিলা সহকর্মীকে বিয়ে করে সংশ্লিষ্ট যুবকটি। ২০১৮ সালে গোয়ালিয়রের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর একসঙ্গে বসবসের পর কোভিডের সময়, তিনি তার স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে গুরুগাঁওতে ফিরে গিয়েছিলেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই যুবক তাঁর আইনত বৈধ স্ত্রীকে ফেরত নিতে আসেননি। এরপর প্রথম স্ত্রী গুরুগাঁওতে ওই ব্যক্তির অফিসে যান। সেখানে গিয়ে মহিলার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে। জানতে পারেন অফিসের এক সহকর্মীকে বিয়ে করেছেন ওই যুবক। এরপর অফিসের মধ্যে তাঁর স্বামীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মহিলা। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন।
পরে ওই যুবককে গোয়ালিয়রে তলব করে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছাড়তে অস্বীকার করেন। অবশেষে তিন জন মিলে একটি ‘চুক্তিতে’ পৌঁছন। সেই চুক্তি অনুযায়ী স্বামী সপ্তাহে তিন দিন তার এক স্ত্রীর সঙ্গে এবং অপর তিন দিন তার আরেক স্ত্রীর সঙ্গে কাটাবে। আর রবিবার তার যে স্ত্রীর কাছে থাকতে ইচ্ছে করবে তার কাছে থাকবে। চুক্তি অনুসারে দুই স্ত্রিকে পৃথক ফ্ল্যাট দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি দুজনকেই বেতনের টাকা ভাগাভাগি করে দদিতে রাজি হয়েছেন।