এই মুহূর্তে




Lord Shiva: শবভস্ম ছাড়া আরতি অসম্পূর্ণ থাকে এই মহাদেবের… জানেন কী তিনি কে? 




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায়: জানেন কী মহাদেবের এই মহাজাগ্রত জ্যোতির্লিঙ্গ পূজিত হন তন্ত্র মতে ! শৈবদের কাছে এটি ১৮ টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। জানা যায়, শ্মশান ঘাট থেকে প্রাপ্ত পবিত্র ছাই দিয়ে এখানে জ্যোতির্লিঙ্গের পূজা করা হয়। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? এই জ্যোতির্লিঙ্গ হল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে অবস্থিত শ্রী শ্রী মহাকালেশ্বর। এটি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে তৃতীয় জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়।

মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গটি দক্ষিণামূর্তি নামে পরিচিত কারণ, এই জ্যোতির্লিঙ্গের মুখ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এই জ্যোতির্লিঙ্গের একটি বিশেষত্ব আছে, যেটি হল দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে তান্ত্রিক শিবনেত্র একমাত্র এখানেই দেখা যায়। কথিত আছে, পুরাকালে উজ্জয়িনী শহরটির নাম ছিল অবন্তিকা। এই অবন্তিকা ছিল অত্যন্ত সুন্দর শহর ও ধর্মীয় চিন্তার কেন্দ্র। সে সময় অবন্তিকায় চন্দ্রসেনের শাসনকাল চলছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শিব ভক্ত। সে সময় এক কাণ্ড ঘটে যায়। 

একদিন শ্রীখর নামে এক ভক্তপ্রাণ কৃষক বালক প্রাসাদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে শুনতে পায় যে, রাজা শিবের নাম করছেন। সেও তৎক্ষণাৎ ছুটে মন্দিরে গিয়ে রাজার সঙ্গে প্রার্থনা শুরু করে দেয়। প্রহরীরা তাকে টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে বের করে শহরের বাইরে শিপ্রা নদীর তীরে রেখে দিয়ে আসে। এমন সময় অবন্তিকা তথা উজ্জয়িনীর পার্শ্ববর্তী শত্রুরাজ্যের রাজা রিপুদমন ও সিংহাদিত্য উজ্জয়িনীর সম্পদের লোভে রাজ্য আক্রমণের ছক কষছিলেন। এই কথা শ্রীখর কোনও ভাবে জানতে পেরে মহাদেবের কাছে প্রার্থনা শুরু করে দেয়। তার পর সেই খবর বৃধি নামে এক পুরোহিতের কাছেও পৌঁছায়। তিনিও শিপ্রা নদীর তীরে গিয়ে উজ্জয়িনীকে বাঁচানোর জন্য মহাদেবের কাছে প্রার্থনা শুরু করেন। ইতিমধ্যেই ব্রহ্মার আশীর্বাদে দূষণ নামে এক ভয়াল দৈত্য অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা পেয়েছিল। রিপুদমন ও সিংহাদিত্য দূষণের সাহায্যে উজ্জয়িনী আক্রমণ করে ও যুদ্ধে জয়লাভ করেই তারা সকল শিবভক্তের উপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করে দেয় ।

তখন ভক্তদের কাতর কণ্ঠস্বরে মহাকাল শিব আবির্ভুত হয়ে সমগ্র রাক্ষসকুল ও উজ্জয়িনীর শত্রুদের ধ্বংস করেন। সে সময় শ্রীখর ও বৃধি মহাকালেশ্বর শিবকে অনুরোধ করলে তিনি উজ্জয়িনীতে বাস করতে রাজি হন। তখন থেকেই দেবাদিদেব মহাদেব মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে মাতা পার্বতীকে নিয়ে সেখানে বাস করছেন।

এই মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ মহাকালেশ্বর শিবের ভস্ম আরতি, যা প্রত্যহ সকাল চারটের সময় অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের চিরাচরিত বিশ্বাস অনুসারে, মহাকালেশ্বর মন্দিরে গেলে বাবা মহাকালের ভস্ম আরতি দর্শন করাই আদর্শ। ভগবান মহাকালেশ্বরকে ভস্ম আরতির সময় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজা করা হয়, যা প্রায় দুই ঘন্টা স্থায়ী হয়। এসময় অগণিত ভক্তপ্রাণ মানুষ মন্দিরে যান ও তাদের সম্মিলিত আরতির গানে অনুষ্ঠানের সময় পরিবেশ অত্যন্ত ভক্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মহাশিবরাত্রিতে এই মন্দিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের থেকে বহু ভক্ত আসেন। এই মন্দিরে গেলে মনের অজান্তেই যেন মনের গভীর থেকে বেড়িয়ে আসে একটি ধ্বনি, “হর হর মহাদেব।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বুধ-বৃহস্পতি বন্ধ কলেজ, স্থগিত পরীক্ষা

বায়ু সেনার ‌উইং কম্যান্ডারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মহিলা আধিকারিকের

‘ডিভোর্স’ নামে নতুন পারফিউম বাজারে আনলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী

শিশুদের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারে বয়সসীমা বেঁধে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ফের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে মৃত্যু ৫ তীর্থযাত্রীর, আহত ৩, চলছে উদ্ধার অভিযান

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত মণিপুরের তিন জেলায় কারফিউ জারি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর