নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: ‘জেলের রুটি (Jail ki Roti)।’
শব্দটি খুব ছোট হলেও এর প্রভাব মারাত্মক। হুমকির কাছে কোনও ব্যক্তি মাথা নত না করতে চাইলে, তাকে বলা হয় – জেলের রুটি (Jail ki Roti) খাওয়ার খুব শখ জেগেছে। অথবা বলা হয়, জেলের রুটি (Jail ki Roti) খেতে না চাইলে যা বলা হয়েছে সেটা ভালোয় ভালোয় করে দেওয়াই ভাল। সেই ভয়ে অনেকেই হুকুম তামিল করেন। জেলে গিয়ে রুটি খাওয়ার ইচ্ছে কারই বা হয়।
এবার আর জেলে গিয়ে জেলের রুটি (Jail ki Roti) খেতে হবে না। তার জন্য কাউকে কোনও অপরাধও করতে হবে না। উত্তরপ্রদেশ জেল কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের হাতে তৈরি হাতরুটি এবার বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের ডিজি (কারাগার) আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, জেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের হাতে তৈরি হাতরুটি বাজারে বিক্রি করার। এর জন্য খোলা হবে আউটলেট। রুটির পাশাপাশি পাওয়া যাবে অন্য়ান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। বিক্রি করে যে অর্থ উঠে আসবে তা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলের সংস্কার করা হবে।
আনন্দ কুমার এও বলেন, অন্যান্য সংস্থা যেভাবে তাদের তৈরি পণ্যের জন্য মার্কেটিং করে, জোরকদমে প্রচার চালায়, ঠিক একই কায়দায় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলে আটক বন্দিদের হাতে তৈরি হাতরুটির প্রচার করা হবে। দেওয়া হবে বিজ্ঞাপন। প্রয়োজনে কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করতে পারে জেল কর্তৃপক্ষ।
ভারতের অন্যতম বিখ্যাত সেফ (chef) রণবীর ব্রার (Ranveer Brar) কয়েকটি জেলে গিয়ে বন্দিদের রান্না করাও শিখিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। আগামীদিনে তাদের হাতে তৈরি রান্না খাবারও বিক্রি করা হতে পারে।