এই মুহূর্তে




পার্থ’র সেচ পেলেন মানস, কদর বাড়লো বাবুল-চন্দ্রিমার, গুরুত্ব হারালেন রব্বানি

Courtesy- Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: একমাস আগে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের(State Cabinet Reshuffle) ফাইল। দীর্ঘদিন ফেলে রেখে অবশেষে গতকাল তাতে সই করেছেন তিনি। এদিন সকালেই সেই ফাইল পৌঁছায় নবান্নে(Nabanna)। আর তার পরে বুধ দুপুরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা জারি করে দিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের বিজ্ঞপ্তি। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় কদর বেড়েছে মানস ভুঁইয়া(Manas Bhnuiya), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) এবং বাবুল সুপ্রিয়’র(Babul Supriya)। তবে গুরুত্ব কমেছে গোলাম রব্বানির। একই সঙ্গে এবারের রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলকে ঘিরে সব থেকে বেশি চর্চায় ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সেই জেলারই পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক। মনে করা হচ্ছিল তাঁর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু এদিন সেই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। একই সঙ্গে অখিল গিরির ছেড়ে যাওয়া কারা ও মৎস্য দফতরও কাউকে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন সরকারি আধিকারিকদের সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া আর বাধ্যতামূলক নয়, রায় হাইকোর্টের

মানস ভুঁইয়া আগে থেকেই জলসম্পদ ও জলপথ পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এবার এই দুই দফতরের পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরের দায়িত্ব। বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী। এবার সেই দফতরের পাশাপাশি তিনি দেখবেন শিল্প পুনর্গঠন দফতর। আগে সেচ ও শিল্প পুনর্গঠন দফতর ছিল পার্থ ভৌমিকের হাতে। কিন্তু তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন। তাই তাঁকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকেও সরতে হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর হাতে থাকা দুটি দফতর ভাগ হয়ে গেল মানস ভুঁইয়া ও বাবুল সুপ্রিয়ের মধ্যে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বরাবরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘণিষ্ঠ হিসাবে বিবেচিত হন। একই সঙ্গে তিনি দলের মহিলা সেলেরও নেত্রী। এতদিন তাঁর হাতে রাজ্যের ভূমি দফতর, স্বাস্থ্য দফতর ও উদ্বাস্তু পূর্ণনবীকরণ দফতর ছিল। এদিন থেকে এই ৩ দফতরের পাশাপাশি তিনি পেলেন পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব।

আরও পড়ুন হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশকে গড়ে দিয়ে গিয়েছেন

গোলাম রব্বানির হাতে ছিল পরিবেশ দফতর। কিন্তু এদিন সেই দফতর তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অচিরাচরিত শক্তি দফতর। তবে অখিল গিরির ছেড়ে যাওয়া কারা ও মৎস্য দফতর নিয়ে এদিন কিছু জানানো হয়নি। জল্পনা ছিল অখিলের জায়গায় কারা দফতরের দায়িত্ব দিয়ে উত্তম বারিককে(Uttam Barik) রাজ্য মন্ত্রিসভায় সামিল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই রকম কিছু হল না। মনে করা হচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের বুকে দলের অন্দরে শক্তিসাম্য বজায় রাখতেই মমতা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ যাতে ভাল ভাবে চালানো যায় তার জন্য উত্তম বারিককে জেলার রাজনীতি ও প্রশাসনেই রেখে দিলেন তিনি। কেননা ২ বছর বাদেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। একুশের ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ৯টি আসন। ৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ওই জেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। ফলে সেখানে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় উত্তম জেলায় পড়ে থেকে যাতে দলের সংগঠনেও নজর দিতে পারেন সেই কারণেও মমতা এবার তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আনলেন না, এমনটাও হতে পারে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কাজে ফিরুন’, চিকিৎসকদের কাছে ফের আর্জি মমতার

ভেস্তেই গেল জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক, নবান্ন ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

এসমা প্রয়োগ করছেন না , স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মমতা

‘পদত্যাগ করতেও রাজি, চাই তিলোত্তমা বিচার পাক’, জানিয়ে দিলেন মমতা

‘জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষতি’,ইয়েচুরির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার

‘শকুনের রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি, রাজনৈতিক উস্কানি থেকে দূরে থাকুন’, বার্তা তৃণমূলের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর