নিজস্ব প্রতিনিধি: মোহনবাগানের মতো মহা সাড়ম্বরে বারপুজো অনুষ্ঠিত হল লাল-হলুদ তাঁবুতেও। মোহনবাগানের বারপুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ইস্টবেঙ্গলে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের বহু প্রাক্তন ফুটবলার। কে ছিলেন না সেই তালিকায়। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, তরুণ দে, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ চন্দ্র, নাজিমূল হক, দেবজিৎ ঘোষ, সন্দীপ নন্দী, সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়রা। মোহনবাগানের অনুষ্ঠান সেরে ইস্টবেঙ্গলের বারপুজোতে যোগ দেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, এআইএফএফ-এর প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে আইএফএ সচিব অনর্বাণ দত্ত, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
সকাল ১০টা বার পুজো শুরু হয় লাল-হলুদ তাঁবুতে। ক্লাব প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হয় লাল-হলুদ ফুল দিয়ে। পুজোর শুরুতেই ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। তারপরই শুরু হয় বারপুজো।
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মতো অসংখ্য লাল-হলুদ সমর্থকও ভিড় জমান ক্লাব তাঁবুতে। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের জুনিয়র ফুটবলার ও মহিলা ফুটবলাররাও।
আরও জানতে পড়ুন: মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে এসে অভিভূত গাভাসকার
২০২২-২৩ আইএসএল-এ লাল-হলুদের ফল আশানুরূপ হয়নি। তার ফলেই সমর্থকরা একেবারেই মনমরা। নববর্ষের দিনেই ক্লাবের তাঁবুতে দাঁড়িয়ে তাঁরা ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করলেন আগামী বছর যেন তাঁদের দল ভালো ফুটবল খেলতে পারে।
১লা বৈশাখের দিনে নিজের প্রাক্তন ক্লাবে আসতে পেরে যথেষ্ট খুশি এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বলেন, আজকের দিনটা এলেই আমার মনে পড়ে যায় পুরনো দিনগুলির কথা। যখন খেলোয়াড় ছিলাম, তখন আজকের দিনটার গুরুত্বই ছিল আলাদা। এই দিনে ক্লাবে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
প্রখর রৌদ্রের তাপকে সহ্য করে যেভাবে দুই ক্লাবের সমর্থকরা তাঁদের প্রিয় ক্লাবে ভিড় জমালেন বারপুজো উপলক্ষ্যে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। আজ ময়দানে কর্পোরেটের ছোঁয়া লাগলেও বারপুজোর দিনে ইস্টবেঙ্গল তাঁবু যেন ফিরিয়ে দিল সেই পুরনো দিনগুলিকেই। প্রাক্তন ফুটবলারদের ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, মুঠোফোনে ছবি তোলা থেকে সমর্থকদের আবদার সবই মেটালেন প্রাক্তন ফুটবলাররা।
