নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ে হয়েছিল ৭ বছর আগে। আছে দুই নাবালক পুত্রসন্তানও। তারপরও পেশায় পুলিশকর্মী জয়ন্ত মণ্ডলের স্বভাবচরিত্রে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। একের পর এক মহিলার সঙ্গে জড়িয়েছিলেন তিনি পরকিয়ার সম্পর্কে। সেই সঙ্গে পণের দাবি না মেটায় স্ত্রী মাম্পি মণ্ডলকে মারধরও করতেন। এবার কনস্টেবল পদে কর্মরত সেই পুলিশকর্মী(Police) জয়ন্ত মণ্ডলের বিরুদ্ধেই উঠল স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে এ রাজ্যের মালদা(Malda) জেলার পুরাতন মালদহ থানার(Old Malda Police Station) মহিষবাথানি এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, জয়ন্ত এদিন তাঁর হাতে থাকা পুলিশের লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের(Murder) পর তাঁর দেহ বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি আম গাছে ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু সেই দৃশ্য গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে যান। তার জেরে গোটা গ্রামের লোক জয়ন্তকে মারতে এগিয়ে এলে সেই গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচতে থানায় আত্মসমর্পণ করে জয়ন্ত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মাম্পির দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ থানার মহিষবাথানি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তের সঙ্গে ৭ বছর আগে পুরাতন মালদহ থানার পোপরা এলাকার বাসিন্দা রামু মণ্ডলের ভাইঝি মাম্পি মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জয়ন্ত যা পণ চেয়েছিল তা দিতে পারেননি রামু। তার জেরে রোজ মাম্পিকে মারধর করত জয়ন্ত। এদিন রামু মণ্ডল জানিয়েছেন, জয়ন্ত যে লাঠি হাতে ডিউটি করত বাড়ি ফিরে সেই লাঠি দিয়েই মারধর করত মাম্পিকে। এটা প্রায় প্রতিদিন চলত। শুক্রবার মারতে মারতে মাম্পিকে প্রাণে মেরে ফেলে জয়ন্ত। তারপর সেই মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালাতে মাম্পির দেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আমগাছে ঝোলাতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রামবাসীদের কাছে ধরা পড়ে যায় জয়ন্ত। শেষে গ্রামের লোকেদের হাতে মার খাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্ত্র বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা এবং খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া জয়ন্তের পিসি ফুলমণির বিরুদ্ধেও খানায় অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন জয়ন্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।