এই মুহূর্তে




রাজ্যের সব Smart Panchayat’র সব বাড়ি পাবে Unique Identification Number

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর পরেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সংক্রান্ত একগুচ্ছ অনলাইন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের। সেই সূত্রেই রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েতকে যেমন Smart Panchayat-এ উন্নিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হবে, তেমনি সেই সব Smart Panchayat’র মধ্যে থাকা প্রতিটি মৌজার সব বাড়িকেই দেওয়া হবে একটি Unique Identification Number, যা দিয়ে সেই বাড়িটির ঠিকানা ও অবস্থান খুব সহজেই খুঁজে বার করা যাবে। রাজ্যের বেশির ভাগ শহর এলাকাতেই বাড়ির নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বর দেখেই সেই বাড়িতে চলে যাওয়া যায়। সেই নম্বর কার্যত বাড়িটির ঠিকানা হয়ে উঠেছে। এবার শহরের সেই সুবিধা মিলবে গ্রামেও। নম্বরের ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানা চালু করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই গ্রামাঞ্চলে বাড়ির Unique Identification Number নম্বর দেওয়ার কাজ চালু হবে।

আরও পড়ুন, ১০ বছরের সমস্যা মিটে গেল ১০ দিনেই, নেপথ্যে অভিষেক, জমির দখল পেল ১৬ পরিবার

সাধারণত পুরসভা এলাকায় প্রতিটি বাড়ির একটি নির্দিষ্ট হোল্ডিং নম্বর থাকে। কোনও রাস্তা বা এলাকার নামের সামনে ওই নম্বর বসিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়। এলাকা চেনেন না, এমন যে কোনও ব্যক্তিও ওই ঠিকানা দেখে খুঁজে নিতে পারেন তাঁর গন্তব্য। গ্রামীণ অঞ্চলে এই সুবিধা নেই। গ্রামে সাধারণত গৃহকর্তা বা কোনও ব্যক্তির নাম ধরেই নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে নিতে হয়। কোনও গ্রামে একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ থাকে যথেষ্ট। এমন সমস্যার দিন শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই। কারণ, রাজ্যের তরফে গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির জন্য Unique Identification Number দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই নম্বরের ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানা চালু করা হবে। বাংলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতকেই ধাপে ধাপে Smart Panchayat-এ উন্নিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির Unique Identification Number  দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি নির্দিষ্ট  Local Government Directory বা LGD Code রয়েছে। এই Code বসিয়ে প্রতিটি বাড়ির জন্য একটি করে নম্বর ব্যবহার করলেই তৈরি হয়ে যাবে Unique Identification Number। প্রতিটি নম্বর হবে ১০ ডিজিটের।

আরও পড়ুন, ‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

আপাতত প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে তা চালু হবে। কেননা নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনে শহরের ধাঁচে গ্রামেও প্রত্যেক বাড়ির হোল্ডিং নম্বর চালুর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেক্ষেত্রে গ্রামের নামের আগে বসবে বাড়ির জন্য রাজ্যের নির্ধারিত নম্বর। সম্পূর্ণ Online মাধ্যমে Building Plan’র ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। বদল আনা হচ্ছে Rural Building Rules-এও। আগামী দিনে Building Plan’র অনুমোদন থেকে শুরু করে Trade License, Property Tax, সহ সমস্ত কাজেই বাড়ির এই Unique Identification Number কাজে লাগবে। শুধু তাই নয়, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্বে থাকা IGR এবং রাজ্যের ভূমিসংস্কার দফতরের তথ্যের সঙ্গে এই নম্বর সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেক্ষেত্রে জমি-বাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত Real Time তথ্য থাকবে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। কোথাও জমি-বাড়ি কেনার সময় ক্রেতারা বা বিক্রেতারা এই নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট পোর্টালে খোঁজ করলেই জেনে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

বাড়ির ৪০০ বছরের পুজোতে আজও নস্টালজিয়ায় ভাসেন মালা রায়

রাত করে বাড়ি ফেরায় বকুনি, মাকে খুনের চেষ্টার পরেও গায়ে আগুন মেয়ের

মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল Joint Platform of Doctors’র, বিকালে জমায়েতের ডাক

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর