নিজস্ব প্রতিনিধি ,বিষ্ণুপুর: দুষ্কৃতীদের গুলিতে চায়ের দোকানে মৃত্যু হল এক তৃণমূল নেতার। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানার(Bishnupur P.S.) দুর্গাবাটি অঞ্চলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সাধন মণ্ডল। দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেলে করে এসেছিল।মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে দুষ্কৃতীরা অপারেশন চালিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই খুন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণ হতে পারে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দুর্গাবাটির বুথ সভাপতি(Booth President) সাধন পেশায় দিনমজুর। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। সেখানে আচমকা একটি মোটর বাইক(Motorcycle) এসে দাঁড়ায়। মুখ ঢেকে রাখা তিন দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে প্রায় ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি লাগে তৃণমূল নেতার মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলি চালিয়ে যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা সে মৃত কিনা তা দেখার জন্য পা দিয়ে ধাক্কা মারে।
এরপর গ্রামের পথ দিয়ে চম্পট দেয় তিন জন। গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তৃণমূল সূত্রে খবর, আঁধাররমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন সাধন। ৩৪ বছরের যুবক তাঁর ভাইপো এবং এক প্রতিবেশীর সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সেখানেই আচমকা গুলি চলে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা মৃতের ভাইপো শুভঙ্কর মণ্ডল জানান, তার কাকাকে লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। স্থানীয়রা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন। দুষ্কৃতীদের আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পিন্টু সর্দারের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে এই খুন করা হয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি তাঁরা।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্ত্রের জন্য পাঠিয়েছে। এদিকে যে পথ দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে সেই পথে কোন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা(CCTV) না থাকায় তদন্তে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে যে স্পটে গুলি চালানো হয়েছে, সেখানে আশেপাশের বেশ কিছু দোকানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।