নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতের অন্ধকারে বসছে অসামাজিক কাজকর্মের ঠেক। যার জেরে বন্ধ হতে চলেছে চাঁচলের কৃষকবাজার। অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে বসছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের আসর। আর যার ফলে দুর্ভোগে জেরবার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা ঘটনা নিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচলের মহকুমা শাসক।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মালদহের চাঁচলের ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বারোগাছিয়া এলাকায় ৫ একর জমির ওপর এই কৃষক বাজার তৈরি করা হয়। নির্মাণের কিছুদিন পরেই পুরোদমে চালু হয়ে যায় এই বাজার। কিন্তু চালু হলেও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এই কৃষক বাজার আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাজারে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে জল নিয়ে তীব্র সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতাদের। শৌচালয় গুলি আবর্জনায় বুজে গিয়েছে।বাজারের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল।বাজারের নিকাশি নালা আবর্জনায় বুজে থাকার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলে থইথই করে বাজার চত্বর। গোটা কৃষক বাজারে আবর্জনায় ভরপুর। সফাইয়ের কাজে কোনো হেলদোল নেই প্রসাশনের। আমরা এর জন্য খুবই ভুক্তভোগী।
উল্লেখ্য এই বাজারে প্রায় ৫০ টির বেশি কাঁচা সবজি, মাছ ও মাংসের দোকান রয়েছে। যাদের কাক ভোরে এসে ওই বাজারে জলের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বাজার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হএলো বাজারের আবর্জনা সাফাই করা হয় না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা বাড়ানো হবে।’