এই মুহূর্তে




চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা শুরু, আটোঁসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দননগর: হুগলি জেলার চন্দননগরে শনিবার দুপুর থেকে জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জন শুরু। শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। চলবে গভীর রাত পর্যন্ত। শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। ফাটানো যাবে না আতশবাজি। প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন চন্দননগরে গঙ্গার পাড়ে। শনিবার সন্ধ্যে ছটা থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর(Jagadhatri Puja ) নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। ভদ্রেশ্বর তেতুলতলা বারোয়ারি শোভাযাত্রা যোগ দেওয়ার পর মোট পুজো কমিটির সংখ্যা হয়েছে ৭০। মোট শোভাযাত্রায় ট্রাকেট সংখ্যা ২৪৫। এই ট্রাক ও ম্যাটাডোরে শোভাযাত্রার আলো সাজানো হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রই জানা গিয়েছে শোভাযাত্রাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৩০০০ পুলিশকে রাস্তায় নামানো হয়েছে। প্রতিটি কমিটির সঙ্গে পুলিশের একটি দলকে রাখা হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিসিটিভি(CCTV) অতিরিক্ত লাগানো হয়েছে শোভাযাত্রার বিভিন্ন রুটে। তার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। শোভাযাত্রা আর সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে অনলাইনে। অতিথিদের জন্য কমিশনারের পক্ষ থেকে চন্দননগর থানার সামনে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। চন্দননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে শোভাযাত্রায় থাকা পুজো কমিটিগুলির প্রতিমা রবিবার সকালের দিকে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন হবে। তবে শোভাযাত্রায় যে সকল প্রতিমা অংশগ্রহণ করবে না তার নিরঞ্জন শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে সাতটি করে মোট ১৪ টি ঘাটে শনি ও রবিবার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব সম্পন্ন হবে। ওই ঘাট গুলিতে চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয় চন্দননগর রানী ঘাটে। সেখানে পাঁচটি ট্রাক যাতে দাঁড়াতে পারে তার জন্য সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই বছর প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার নিরঞ্জন এর শোভাযাত্রায় চন্দননগর শহরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না।

এর আগে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতো। দশমী এবং একাদশীতে বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকা অভ্যস্ত ছিল চন্দননগরবাসির। কিন্তু এবছর সেই প্রথা ভেঙে চন্দননগরে(Chandannagar) ভাসানের দুদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। বড় বড় প্রতিমা যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তারে থেকে অঘটন ঘটতে পারে তাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হতো। কিন্তু একশো কুড়ি কোটি টাকা খরচা করে চন্দননগরে বিদ্যুতের তার মাটির নিচ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১১০০০ কেভির বিদ্যুতের লাইনের প্রায় পুরোটাই মাটির তলা দিয়ে গিয়েছে। তাই এ বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের দুদিন আর লোডশেডিং করতে হয়নি চন্দননগরে। চন্দননগরের মেয়র(Mayor) রাম চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের দুদিন বড় সমস্যায় পড়তে হতো সেখানকার বাসিন্দাদের কিন্তু সেখান থেকে চিরস্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটা সম্ভব হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ চালু রেখে যেহেতু প্রতিমা নিরঞ্জন হবে তাই বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের হুগলি আঞ্চলিক ম্যানেজার মধুসূদন রায় জানিয়েছেন। সারারাত এই শোভাযাত্রাকে ঘিরে চন্দননগর জেগে থাকবে। চলবে আলোর ভেলকি আর নিরঞ্জনকে ঘিরে সুশৃংখল শোভাযাত্রা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জল প্রকল্পের গেটে শ্রমিক বিক্ষোভ, আটকানো হল আধিকারিকদের

ভারতের নাগরিক, অথচ সপরিবারে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গেলেন বাংলাদেশ, চাঞ্চল্য সংগ্রামপুরে

মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে ২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার

পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

এগরায় জমি বিবাদ ঘিরে সংঘর্ষ, দু’পক্ষের বাড়িতে আগুন

মানতে পারেননি ছেলের মৃত্যুশোক, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ