নিজস্ব প্রতিনিধি: শুরু হয়েছিল সেই চতুর্থীর দিন থেকেই। শনি ও রবিবার দিঘায় ভিড় ছিল ভালোই। ষষ্ঠীর দিন থেকেই সেই ভিড় লাগামছাড়া হয়ে সপ্তমীতে দিঘা জনসমুদ্রে পরিনত হল। পুজোয় ভিড় এড়াতে অনেকেই দিঘা বা মন্দারমনিতে চলে এসেছেন ছুটি কাটাতে। ফলে দিঘার হোটেল এখন কার্যত হাউসফুল। এক বছরের মন্দা কাটিয়ে মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে এখানকার ব্যবসায়ীদের। গত বছর লকডাউনে দিঘায় নো এন্ট্রি ছিল।
ফলে ইচ্ছা থাকলেও কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জোড়া ফলায় মানুষ ছিল গৃহবন্দি। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। কোভিডবিধি জারি থাকলেও কড়াকড়ি কিছুটা কম। এই সুযোগে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ি থেকে। মঙ্গলবার সপ্তমীর সকালেই মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে দিঘাগামী ট্রেন সব বাতিল হয়েছে। তবুও আটকানো যায়নি উৎসবমুখী জনতাকে।
সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত একটানা চারদিন ছুটি রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি অফিসে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে একাদশী ও দ্বাদশী, কারণ ওই দুই দিন শনি ও রবিবার পড়েছে। ফলে টানা ছয়দিন ছুটি পেয়ে পর্যটনপ্রিয় বাঙালি বেরিয়ে পড়েছেন ঘর থেকে। কাছেপিঠে দিঘার চাহিদা বরাবরই রয়েছে। ফলে দিঘায় ভিড় লাগামছাড়া। জায়গা না পেয়ে অনেকেই চলে আসছেন মন্দারমনি বা তাজপুরে।
সমুদ্রে স্নানে মেতে উঠেছেন পর্যটকেরা। বাচ্চা থেকে বুড়ো-সকলেই যেন জলকেলিতে মগ্ন। তবে পুলিশ-প্রশাসনও সতর্ক সব ধরণের বিপদ এড়ানোর জন্য। পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। সৈকতে চলছে অনবরত মাইকিং। এক কথায় পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করছে দিঘা।
