এই মুহূর্তে




বাংলায় এবার হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা, নেপথ্যে ‘লা-নিনা’

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: মা দুগ্গা আসতে বাকি আর ১ মাস। বাংলা ক্যালেন্ডার বলছে চলছে এখন ভাদ্র মাস। এর ঠিক করেই আসছে আশ্বিন মাস। সেই আশ্বিনের শেষদিকেই পড়েছে দুর্গাপুজো। ভাদ্র আর আশ্বিন এই দুই মাস নিয়েই শরৎ কাল। তারপরেই আসে হেমন্ত যা কার্তিক আর অগ্রাহয়ণ মাস নিয়ে। তারপরে শীতের পালা। সেই হিসাবে দেখতে গেলে দুর্গাপুজো আর শীতের মাঝে ব্যাটিং করে হেমন্ত। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালে যে শরৎ আর হেমন্তের ২ মাস করে ৪ মাস ধরে ব্যাটিং করার কথা, সেটাই এখন মেরেকেটে দাঁড়িয়েছে ২ মাসে। কেননা বর্ষা বিদায় হতে হতেই পুজো শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর কালিপুজো পার হলেই গায়ে গরম জামা চাপাতে হচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখবেন, মা দুগ্গা জলে পড়লেই গা শির শির করে ওঠে। যেন হিমের পরশ লাগছে শরীরে। সেই শীতের(Winter) জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে বাঙালি। এবার বাঙালির সেই প্রিয় শীত নিয়ে বড় বার্তা দিল দিল্লির মৌসম ভবন(IMD)। তাঁরা জানিয়েছে, এবার দীর্ঘমেয়াদী স্তরে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা(Huge Cold) পাবেন বাংলার(Bengal) বাসিন্দারা। নেপথ্যে থাকছে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘লা-নিনা’(La Nina)।

আরও পড়ুন, আমজনতার জমি চুরি ঠেকাতে ২টি বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ‘লা-নিনা’ কী? এর সঙ্গে বাংলার শীতেরই বা কী সম্পর্ক? প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরের জলস্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা থাকলে তাকে ‘লা নিনা’ বলা হয়। এ বছর সমুদ্র ঠান্ডা হওয়ার পর্ব শুরু হয়েছিল জুনের মাঝামাঝি। সেপ্টেম্বরে তার মাত্রা আরও তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার প্রভাবেই শীতে এ বার হাড় কাঁপার সম্ভাবনা। প্রশান্ত মহাসাগর ঠান্ডা হলে অর্থাৎ লা নিনা পরিস্থিতিতে ভারতে বৃষ্টি বাড়ে। আবার লা নিনা দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতে শীতও বেশি হয়। এবার তাই শুধু বাংলাতেই নয়, শীতের কামড় বেশ জোড়দার হবে সারা উত্তর, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতেও। মৌসম ভবনের আধিকারিকদের দাবি, এই বছর ভারতে শীতের স্থায়িত্ব যেমন দীর্ঘ হবে তেমনি, তার কামড়ও বেশ জোরদার হবে। সেই হিসাবে বাংলার পশ্চিম দিকের জেলাগুলির শীতকালীন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিযোগিতায় নামবে উত্তরের পাহাড় ও পাহাড় ঘেঁষে থাকা জেলাগুলির তাপমাত্রার সঙ্গে। সেই সঙ্গে দাপট দেখাবে কুয়াশাও। মূলত এই কুয়াশার জন্যই এবার বাংলায় শীতকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন, একদিকে পুজোর অনুদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা, অন্যদিকে রাস্তায় সারাইয়ে নামছে পুরবোর্ড

আরও একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন মৌসম ভবনের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এবার উত্তর এবং মধ্য তথা পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি বাংলাতেও ‘শীতল দিন’(Cold Day) ও ‘শৈত্যপ্রবাহ’(Cold Wave) দুটিই বেশি দেখা যাবে। কোনও জায়গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকে এবং একই সঙ্গে যদি সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে, তা হলে তাকে ‘শীতল দিন’ বলা হয়। আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলে তাকে ‘শৈত্যপ্রবাহ’ বলা হয়। গত শীতে উত্তর ভারতে একসঙ্গে দুই পরিস্থিতিই দেখা গিয়েছিল। এবার সেই ছবি ধরা পড়তে পারে বাংলার বুকেও। বিশেষ করে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে, টানা ২-৩ সপ্তাহ ধরেই ‘শীতল দিন’ ও ‘শৈত্যপ্রবাহ’ চলছে। একই সঙ্গে মৌসম ভবনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বাংলায় এবার শীতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম থাকছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিষেক কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মহিলা

পিটিয়ে খুন কুলটি সেল গ্রোথ কারখানায়, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

লাভপুরে বিজেপি ছেড়ে ২০০ পরিবারের তৃণমূলে যোগ

রাজস্থানে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার

নিউটাউনে জনবহুল এলাকার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ

বহরমপুরে ভাগিরথী নদী থেকে নিখোঁজ নার্সের দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর