নিজস্ব প্রতিনিধি,হিঙ্গলগঞ্জ: হাসপাতালের ভিতরেই লেখা রয়েছে বড় বড় অক্ষরে সাবধান বিপদজনক ঘর।
স্বাধীনতার পূর্বে হিঙ্গলগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র(Hingalganj Health Center) বেহাল ভগ্নদশা। হাসপাতালে যত্রতত্র চাঙড় ভেঙ্গে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসক, নার্সদের।শতাব্দী প্রাচীন স্বাস্থ্য কেন্দ্র জরাজীর্ণ বট বৃক্ষে ঘিরে ধরেছে হাসপাতাল ছাদ ।রোগী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৯১৪ সালে ১৫ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র টা তৈরি হয়েছিল সেখান থেকে একে একে প্রথমে ২ বেড , তারপর ১০, তারপর ২৪ বেড হলেও, ২০১০ সালে ১৫ই আগস্ট বেভের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০। ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিতে একমাত্র এই হাসপাতাল চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স সহ বিনামূল্যে ওষুধ পেত প্রান্তিক মানুষরা। এখন বিনা মুল্যে ওষুধ পেলেও, এখন সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন খোলা হয় । দুঘন্টা করে পরিষেবা পান প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মানুষ। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের একমাত্র ভরসা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আর হিঙ্গলগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এই দুটি হাসপাতালের উপর নির্ভর করে সুন্দরবনের(Sundarban) মানুষের একমাত্র চিকিৎসা পাওয়ার মূল জায়গা। আর সেখানেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাচীন ভগ্নদশা বিপজ্জনক ঘর থেকে যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত রোগী ও রোগীর পরিবাররা এমনকি সাধারণ মানুষ। যত্রতন্ত্র চাঙড় ভেঙে পড়ছে।
পাশাপাশি বট বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যেসব আউটডোর(Outdoor) রোগীরা গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে যাচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছেন। বিপদের সম্মুখীন হতে পারে সাধারণ রোগীরা। তারা চাইছেন দ্রুত এই হাসপাতালকে সংস্কার করা হোক। কর্তব্যরত নার্স এবং চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে এই বিষয়ে তারা মুখ খুলতে চাননি। এমনকি বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুুখ খুলতে চান নি। তিনি বলেছেন, বিষয়টা আমরা দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানাবো। হিঙ্গল গঞ্জের জমিদার রায়বাহাদুর গোপাল চন্দ্রর সেই হাসপাতাল আজ সুন্দরবনের ভৌগলিক মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে ।তারা চাইছে দ্রুত স্মৃতি বিজড়িত এই হাসপাতাল আবার নব রূপ নিক।
