এই মুহূর্তে




বাংলাদেশ থেকে হামলার আশঙ্কা, বাংলার কোথায় জারি অঘোষিত কার্ফু




নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে উত্তপ্ত গোটা দেশ। এই ভয়াবহ আবহে কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এবং সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত অঞ্চল জুড়ে কার্ফু জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার দিনহাটার মহকুমা শাসকের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা সামনে এসেছে। তবে শনিবার প্রকাশ হলেও বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ উল্লেখিত রয়েছে ৩০ এপ্রিল।

জানা গিয়েছে, এই কার্ফু জারি করা জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে গীতালদহ, বামনহাট, সাহেবগঞ্জের মতো এলাকাগুলিও। বাংলাদেশ ও ভারতের বর্ডার এলাকার মধ্যে পড়ছে এই সমস্ত জায়গা। যার কারণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না প্রশাসন। তাই জরুরি পরিস্থিতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকায় যথাযথ আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের দিকে যে ১ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে তাতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলাচলের উপর বিশেষ বিধি নিষেধ জারি করা হল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ ৬০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা থাকবে। এই উল্লেখিত ১  কিলোমিটারের এলাকায় রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত চাল, ধান, গম, গমের তৈরি জিনিস, কেরোসিন তেল, চিনি, সর্ষের তেল, নারকেল তেল, লোহা, স্টিল, বিড়ি পাতা, শিশুখাদ্য, লবণ, চা, টায়ার-টিউব, ড্রাই ব্যাটারি, পেট্রোল, ডিজ়েল, কাঁচা পাট, ডাল, সিমেন্ট নিয়ে কোনও ভাবেই সেখান থেকে যাতায়াত করা যাবে না।

বাংলাদেশ বর্ডারের ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে যা যা দোকান বা হাট-বাজার রয়েছে, সমস্ত কিছু রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও গোরু নিয়ে চলাফেরা করা যাবে না।

এই কার্ফু সংক্রান্ত বিষয় দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, “এসডিও অফিস থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আমার কাছে যে নোটিস এসেছে, তাতে লেখা রয়েছে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় বিএনএস-র ১৬৩ (আগে যা ছিল ১৪৪ ধারা) জারি হয়েছে।”

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার যা যা পদক্ষেপ করবে, সকলের তা মানা উচিত। সেই নির্দেশ কেন্দ্রের সরকারের হোক বা রাজ্য সরকারের। যে-ই এই নোটিস দিক না কেন, এগুলি আমাদের মেনে নিতেই হবে। কারণ দেশের স্বার্থে এটা করা।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উত্তরবঙ্গ-দিঘা রুটে স্পেশাল ভলভো বাস চালানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

টিটাগড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাউন্সিলর-সহ গ্রেফতার তিন জন

২২ মে’র মধ্য তৈরি হবে নিম্নচাপ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি চলবে

‘এটা দিনহাটা নয়..’, উদয়ন গুহকে সমঝে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারের ওপরে ভরসা রাখার বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

“পুলিশ যদি ট্যাক্স তোলে…”, উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে কড়া বার্তা মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ