নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর: সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, শিকলে বেঁধে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয়না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত জামাল(Jamal)। বাড়িতেই বসতো সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচার। জামালই বিচারক।

যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হতো না তাদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। ভূরি-ভূরি অভিযোগের এখন তাঁকে খুঁজছে সোনারপুর থানার পুলিশ।স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এইসব করেই নাকি পেট চলে তাঁর।বাড়ির ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০ টি সিসিটিভি(CCTV) ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। বাড়ির মধ্যে থাকা সুইমিংপুলে(Swimming Pool) চড়ে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ।

তবে কচ্ছপ রাখা বেআইনি হলেও জামাল সর্দার বাড়িতে কীভাবে কচ্ছপ রেখেছে। জামালের সংরক্ষণে রয়েছে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ থেকে শুরু করে ঘোড়া সমস্ত কিছু দেখাশোনা করার জন্য মাসিক ১০ হাজার টাকার বেতনে লোক । কার্যত সোনারপুরে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে জামাল। তার সাম্রাজ্য দেখে পুলিশের কোন কোন অফিসারের মন্তব্য তো সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের ভাই। যত সময় এগোচ্ছে জামালের নানা কু- কীর্তি প্রকাশ্যে আসছে।