নিজস্ব প্রতিনিধি,পাথরপ্রতিমা: মাঝ নদীতে আটকে রইল ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীবাহী নৌকা। চরম ভোগান্তিতে পাথরপ্রতিমা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের ব্যস্ততম এই খেয়া ঘাট। হাজার হাজার মানুষের যাওয়া আসার গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট এইটি। ব্রজবল্লভ পুর থেকে পাথরপ্রতিমা বাজারে আসার জন্যে মাঝে ওয়াল ক্রিক নদী পার হতে হয়। দীর্ঘদিন নদীতে পলি না কাটার জন্য মাসের মধ্যে পনেরো দিন ভাটার সময় ঘন্টার পর ঘন্টা মাঝ নদীতে আটকে যায় যাত্রীবাহী নৌকা। স্থায়ী জেটি না থাকার কারণে ভাটার(Low Tide) সময় প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,ছোট রাক্ষসখালী, বড় রাক্ষসখালী, ব্রজবল্লভপুর সহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ আসা যাওয়ার জন্য এই নৌকা ফেরিতে পারাপার করতে বাধ্য হয়। আর প্রতিদিন ভাটার সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে নৌকাতে ওঠা নামা করতে হয়। যাত্রীদের দাবি রাক্ষস খালি এলাকায় যে জেটিঘাট রয়েছে তা কংক্রিটের জেটিতে পরিণত করা হোক। তাহলে এলাকার মানুষ এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। গত কয়েক মাস আগে নিচের দিকে ইটের তৈরি ব্লক ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ইটের উপরে পলি জমে যাতায়াত করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পলিগুলো সরানো হচ্ছে না, বহু বছর ধরে একই অবস্থা।
প্রতিদিন ভাটার সময় এভাবে মাঝ নদীতে আটকে পড়ে যাত্রী বোঝাই নৌকা। প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নৌকা চালক থেকে শুরু করে নিত্য যাত্রীদের।তবে এই বিষয়ে পাথর প্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা বলেন আমাদের প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। গত কয়েক বছর আগে জেটিটি তৈরি করার সময় এত পলি ছিল না। জেটি তৈরি করার কয়েক বছরের মধ্যে নদীতে(River) পলি পড়ে যাওয়ায় জেটির উপর পলি পড়ে যায়।নতুন পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে এবার জেটিটি বানানো হবে।তবে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ বহু বছর ধরে এভাবে জেটিটি বেহাল হয়ে রয়েছে। কোনোভাবে কাজ করা হচ্ছে না। বিধায়কের আশ্বাসে কত দ্রুততার সঙ্গে এই খেয়া পারাপারের সমস্যা দূর হয় সেদিকেই তাকিয়ে নিত্য যাত্রীরা।