নিজস্ব প্রতিনিধি: খুন (MURDER) করা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রের স্ত্রীকে। রায়গঞ্জের এই হত্যাকাণ্ডে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পরকীয়ার জেরেই খুন। অনুমান, অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। তাই প্রতিশোধ নিতেই খুন। পুলিশি তৎপরতায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লীর ঘটনা। গত শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ (POLICE) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুপ্রিয়া দত্ত। জানা গিয়েছে, এক যুবক প্রায়ই আসত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রের বাড়িতে। সম্ভবত খুন করেছে সেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে মৃতার সন্তান। সে নাবালক। উল্লেখ্য, পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে ওই যুবক একটি সরকারি বাস থেকে নেমে ওই ইঞ্জিনিয়রের বাড়িতে ঢোকে।
জানা গিয়েছে, ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সুপ্রিয়ার। তারপরে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। তবে সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে বেধেছিল ঝগড়া। অনুমান, এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সুপ্রিয়া। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্দায়। তবে মৃতার স্বামীর দাবি, অভিযুক্তকে তিনি চেনেন না। কখনও বাড়িতে আসতে দেখেননি। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রের নাবালক সন্তানের দাবি, তার মা দীর্ঘদিন ধরে কেমন যেন বদলে গিয়েছিল। সারাদিনে বেশির ভাগ সময় ঘাঁটতেন মোবাইল। খুব আস্তে আস্তে কারও সঙ্গে কথাও বলতেন।