নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর আদালতে পেশ করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাঁকে জেল থেকে পুলিশের গাড়িতে করে বারুইপুর কোর্টে নিয়ে আসা হয়। ভাঙড়ে অশান্তি মামলায় বিধায়ক নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে শুক্রবার পুলিশের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে সূত্রের খবর।
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিল। সেই সভায় আসার পথে ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আইএসএফ কর্মীদের। এরপর ওইদিন বিকেলে ধর্মতলায় সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে। কলকাতার রাজপথে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। সেই দিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ-সহ ১৯ জনকে ধর্মতলা থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পরদিন বিধায়ক-সহ ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এরপর ১ তারিখ অর্থাৎ বুধবার আবার বিধায়ক নওশাদ-সহ বাকিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেদিন নওশাদ সিদ্দিকি –সহ বাকিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। জেল হেফাজতে থাকা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের বিধায়কের উপর আরও চাপ বাড়াতে এবার তাঁকে ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত গত ১ তারিখে নওশাদ সিদ্দিকির মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট- এ সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, যার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, তাকে আটকে রাখা অসাংবিধানিক। যে মহিলা আইএসএফ এর সমর্থক বন্দি আছেন তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে ১১ দিন ধরে। মহিলার নাম – আসমা খাতুন। অপরদিকে সরকারি পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, সরকারি সম্পতি ধ্বংস করা হয়েছে। একাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন।