নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ে দাঁড়িয়ে পাহাড়বাসীকে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বিজেপি কথার ফাঁদে না জড়িয়ে পাহাড়কে শান্ত রাখার বার্তা তো দিলেনই সেই সঙ্গে পাহাড় থেকে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ শানলেন নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে। নিত্যদিনের জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি নাম না করেই বকটুইয়ের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিষয়টিকেও একহাত নেন তিনি। পাহাড়কে শান্ত রাখলে যে আখেরে পাহাড়ের আমজনতা ও অর্থনীতির লাভটাই বেশি সেকথাও জানালেন তিনি।
এদিন দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) চৌরাস্তায় আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড় হাসছে। দার্জিলিং আজ হাসছে। টুরিস্ট ভর্তি রয়েছে। প্রতিটি হোটেলে পর্যটক রয়েছে। দার্জিলিঙের এমন পরিস্থিতি যে জুন মাসে জায়গাও পাওয়া যাবে না। এই ধরনের পরিস্থিতি অনেক কম হয়। অনেক সময় ধরে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আমি চাই সকলে হাসতে থাকুক। সকলে খুশি থাকুক। সেই লক্ষ্যে মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। পাহাড় হাসলে আমার ভাল লাগে। কথা দিন, আগামী ১০ বছর কোনও ঝগড়া করবেন না, শুধু মানুষের জন্য কাজ করবেন। আপনারা মন দিয়ে পাহাড়ের জন্য কাজ করুন, দেখুন দার্জিলিং-কার্শিয়াং কোথায় পৌঁছে যায়। কয়েক মাসের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন করাব।’ এরপরেই বিজেপিকে আক্রমণ শানেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দল আছে যাঁরা শুধু ভোটের আগে পাহাড়ে আসে। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। আর নির্বাচন চলে গেলে তাঁদের টিকিও দেখা যায় না। ভুলেও আর দিল্লির লাড্ডু খাবেন না। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো পাহাড়েও ত্রিস্তর পঞ্চায়েত চালুর জন্য বলেছিলাম। এখনও আইন পাশ করতে পারেনি। ওঁরা আগুন লাগায়, আর ওঁরাই চিৎকার করে। এখন পাড়ার ক্লাবে-ক্লাবে ঝামেলা হলেও সিবিআই চাই বলে কোর্টে যায়। বড় কোনও ইস্যু হলে ঠিক আছে। ছোট ছোট ব্যাপারে সিবিআই সিবিআই বলে চেঁচায়। পরিযায়ী বিজেপিকে(BJP) ভরসা করবেন না। ওঁরা ভোটের সময় এসে বহু প্রতিশ্রুতি দেয়। বারবার জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। পাঁচ রাজ্যে ভোট মেটার পর থেকে অন্তত ৫ বার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। ভাবুন একবার! এভাবে সাধারণ মানুষের কীভাবে চলবে? পাঁচ দিনে পাঁচ বার দাম বেড়েছে। এবার মানুষ কী খাবে? বিজেপি খাবে? না দিল্লির লাড্ডু খাবে? দিল্লির সরকারকে দেখুন, বছরে ১০ বার পেট্রোলের দাম বাড়ায়। গ্যাস, কেরোসিনের দাম বাড়ায়, চা বাগান বন্ধ করে দেয়। নিজেরই আগুন জ্বালায়, আবার বদনামও করে বাংলাকে(Bengal)। ওরা বাংলাকে ভালোবাসে না। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। শুধু আগুন লাগানোই ওদের কাজ। ভায়েলেন্স ভায়োলেন্স বলে রাজ্যের দুর্নাম করে।’