এই মুহূর্তে




পশ্চিম মেদিনীপুরে জলবন্দি ৬৪ জন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্যা দুর্গত মেদিনীপুরের মাটি। পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার একটা বড় অংশই ডুবে রয়েছে বন্যার জলে। এই অবস্থায় জেলার বন্যা দুর্গত এলাকায় জলবন্দী অবস্থায় থাকা ৬৪ জন গর্ভবতী মহিলাকে(Pregnant Women Rescued) উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতাল তথা মাদার্স হাটে স্থানাতর করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জেলা মুখ‌্য স্বাস্থ‌্য আধিকারিক সৌম‌্য শঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে যাদের প্রসবের সম্ভাবনা আছে, সেইসব গর্ভবতী মহিলাদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৬৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ বাকিদেরও উদ্ধারকার্য চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে জেলার সবকটি ব্লকের BMOH-দের নিয়ে বৈঠক করেন খোদ মুখ‌্য স্বাস্থ‌্য আধিকারিক। সেখানেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ দ্রুত শুরু করতে বলা হয়।

আরও পড়ুন, ‘DVC-র জলে কেন বাংলা ডুববে, আমরা জানতে চাই, কৈফিয়ত চাই’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা

জানিয়ে গিয়েছে, জলবন্দী এলাকা থেকে গর্ভবতীদের উদ্ধার করে আনার ক্ষেত্রে মুখ‌্য ভূমিকা নিচ্ছেন ই সব এলাকায় কর্মরত থাকা আশাকর্মীরা। এই কর্মীরা সারাবছর বাড়ি ঘুরে ঘুরে কাজ করেন। তাই এলাকায় কোন মহিলা গর্ভবতী তা তাঁরা ভালো জানবেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাছে প্রশাসন।  সঙ্গে সাপে কাটা রোগের ওষুধ থেকে শুরু করে অন‌্যান‌্য ওষুধপত্র মজুত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  জেলাজুড়ে যে ৬৪ জন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ‌্যা আছে ঘাটালেই। কেবলমাত্র ঘাটাল ব্লকেই ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দাসপুর-১ ব্লক থেকে ৮জনকে, দাসপুর-২ ব্লক থেকে ৬জনকে, চন্দ্রকোনা-১ ব্লক থেকে ৮জনকে এবং খড়গপুর-১ ব্লক থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ব্লকগুলিতে এই সংখ‌্যা অনেকটাই কম। তবে জেলা স্বাস্থ‌্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ক্রমশ এই সংখ‌্যাটা বাড়ছে। কেননা তাঁরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এসবের পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে সাপে কাটা রোগীর সংখ‌্যাও। জেলা স্বাস্থ‌্য দফতর সূত্রে খবর এপর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ১৪ জন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে সকলেরই।   

আরও পড়ুন, ‘৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে, এটা Man Made Flood’ বার্তা মমতার

এদিকে ঘাটালের(Ghatal) বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। ডুবেছে রাস্তাঘাট-দোকানপাট-ঘরবাড়ি, সেই সঙ্গে শ্মশানও। এই পরিস্থিতিতে কেউ মারা গেলে মৃতদেহ নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় দাহ করা হবে — তা নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই পরিবারের। বাড়ি থেকে বেরোতে হলে ভরসা নৌকা বা ডিঙি। স্থানীয় শ্মশানেও এক মানুষের ওপর জল। গোটা এলাকা জলে ডুবে থাকায় দাহ করার জায়গা না পেয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মৃতদেহ ফেলে রাখতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাহায্য মিলছে। NDRF’র বোট পাঠিয়ে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দূরের কোনও শ্মশানে। এই প্রসঙ্গে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘জলমগ্ন এলাকায় অসুস্থ রোগী, প্রসূতি, মৃতদেহ সৎকার নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। জানতে পারলেই সেখানে নৌকো বা স্পিড বোট পাঠানো হচ্ছে। দুর্গত মানুষকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’ ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি জানিয়েছেন, ‘ঘাটালের মানুষের এই যন্ত্রণা সত্যি কঠিন। দূরে হলেও আমরা কয়েকটি শ্মশান চুল্লি তৈরি করেছি। কেউ মারা গেলে এনডিআরএফ পাঠিয়ে বোট বা নৌকো করে মৃতদেহ উদ্ধার করে আনতে হচ্ছে সৎকার করার জন্য। এছাড়া উপায় তো কিছু নেই।’   




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর