এই মুহূর্তে

রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি শান্তনুর

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি তিনি এর আগেও একবার দিয়েছিলেন। সেই সময়ে যে বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন এবারেও সেই একই বিষয়েই চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় এখন নতুন চিঠিই রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় জল্পনা ছড়িয়ে দিল। সেই জল্পনা শিবির বদলের। জল্পনা গেরুয়া শিবির ত্যাগ করার। নজরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেননা ফের তিনি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেটাও বয়রা থেকে বাগদা পর্যন্ত প্রস্তাবিত ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে। এই নিয়ে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন শান্তনু। কিন্তু সেই সময়ের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। তখন শান্তনু বিজেপিতে কোনঠাসা হননি, বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহও ছড়িয়ে পড়েনি। এখন কিন্তু বিদ্রোহ বেড়েই চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে। শান্তনুকেও কোনঠাসা করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন অনেকেই মনে করছেন চিঠির বিষয়বস্তু গৌণ। মুখ্য তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন একাধিকবার রেল মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। ২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে। সেই সময়েই তিনি বনগাঁ থেকে বাগদা পর্যন্ত রেল লাইনের প্রস্তাব রেখেছিলেন। এমনকি সেই প্রস্তাবিত প্রকল্পের শিলান্যাস সাধনও করেছিলেন। কিন্তু তারপর কাজ আর এগোয়নি। এমনকি সেই প্রস্তাবের বাস্তবায়নের জন্য হয়নি কোনও জমি অধিগ্রহণ, হয়নি কোনও বাজেট বরাদ্দও। অথচ এখনও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার বাংলাদেশ ঘেঁষে থাকা বাগদা ব্লকের কয়েক হাজার মানুষের কলকাতায় আসার ক্ষেত্রে প্রধান যোগাযোগ মাধ্যমই হল বাস, যা সংখ্যায় খুবই কম। তাই বাগদা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের সড়ক পথে বনগাঁ এসে তারপরে ট্রেন করে কলকাতায় আসতে হয়। যাতে সময় যেমন বেশি লাগে, খরচও বেশি পড়ে। শান্তনু ঠাকুর এখন এই রেলপ্রকল্পেরই দ্রুত বাস্তবায়ন ঘটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন যাতে জমি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার।

শান্তনু জানিয়েছেন, ‘আমি আমার সংসদীয় এলাকার চাহিদা অনুসারে ২ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীকে জমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে চিঠি দিয়েছিলাম। তার কোনও উত্তর আসেনি। তাই আবার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করলে বাগদা থেকে বয়রা পর্যন্ত রেলচলাইন করা হবে বলে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে। তাই অনুরোধ করেছি রাজ্য সরকার যেন দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে তা রেলের হাতে তুলে দেয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটানোর জন্য।’ সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে ৫ হাজার মানুষের গণসাক্ষর সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। শান্তনু নিজেই জানিয়েছেন এই চিঠির পিছনে রাজনীতি খোঁজা বৃথা। এটা উন্নয়নের বিষয়, আমআদমির চাহিদার বিষয়। যদিও রাজ্য রাজনীতি মহল এত সহজে সব কিছু মেনে নিতে চাইছে না। কেননা একই বিষয়ে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে একইজনকে দুইবার চিঠি পাঠানোর অর্থ, দূরত্ব মোচনের প্রচেষ্টা। সন্দেহ নেই বিজেপি শান্তনুর মন্ত্রীত্ব কাড়লে ও তাঁকে দলে চূড়ান্ত রকম কোনঠাসা করে দিলে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবে শান্তনুর হয়তো শিবির বদল করা ছাড়া আর বিকল্প কোনও রাস্তা থাকবে না। ভুললে চলবে না, তৃণমূলের তরফে একাধিকবার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, শান্তনু ও তাঁর অনুগতরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলে তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। আর এই প্রেক্ষাপটেই মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো শান্তনুর চিঠি রাজ্য রাজনীতিতে বাড়তি জল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

‘দিদিকে’ ভালোবেসে বিনা পারিশ্রমিকে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অশীতিপর বোস দা

প্রচারে নেমেই স্থানীয় ‘ঠাম্মা’-কে জড়িয়ে ধরলেন রচনা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

সুকান্তের জেলায় ভোট প্রশিক্ষণে গরহাজির ৭০০ কর্মীকে শোকজ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর