নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: একাদশীর রাতেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। জামাইয়ের হাতেই নৃশংসভাবে খুন হলেন দুই শ্যালক। উত্তেজিত জনতার জনরোষে প্রবল গণপিটুনীর শিকার অভিযুক্ত জামাইবাবু।আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত নুনি বাউরি পাড়ায় এই ঘটনা ঘিরে প্রবল উত্তজনা তৈরি হয়েছে শনিবার রাত থেকেই। একাদশীর রাত ১১টা নাগাদ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে।
আসানসোলের বাউড়ি পাড়ার বাসিন্দা বুধন বাউরি ও তাঁর খুড়তুতো ভাই অশোক বাউরি খুন হয়েছেন। অভিযুক্ত তাঁদেরই বাড়ির জামাই হারু বাউড়ি। তিনি ঘর জামাই হিসেবেই থাকতেন। তবে ঠিক কী কারণে খুন সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ অভিযুক্ত হারুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে গণধোলাই দেয়। ফলে সেও কার্যত কোমায় চলে গিয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত হারু বাউড়ির বাড়ি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজল ঘাঁটি এলাকায়। কিন্তু তিনি ঘর জামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়ি থাকতেন।
অভিযোগ, প্রায় দিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের স্ত্রী এবং শ্যালকদের সঙ্গে অশান্তি করতেন তিনি। শনিবার রাতেও দুই শ্যালকের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন তিনি। সেই সময়ই কোনও বচসা থেকে খুন করে বসেন দুই শ্যালককে বলে ধারণা পুলিশের। তাঁদের গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে জলে ডুবিয়ে মারা হয়েছে বলেও অনুমান পুলিশের। হারুর জ্ঞান ফিরলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্য।