নিজস্ব প্রতিনিধি,হিঙ্গলগঞ্জ: সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর আমবেড়িয়া গ্রামে, রায়মঙ্গল নদীর চরে থাকা ম্যানগ্রোভকে গ্রামের আদিবাসী মহিলারা ভাইফোঁটা(Bhaifhota) দিলেন।উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিশিকান্ত জোদ্দার ও বনভূমি কর্মদক্ষ সুরজিৎ বর্মন।এই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয় শ্যামা কালী পূজার,আমবেড়িয়া ও ১৩ নং মধ্যস্থ নতুন হাটের উদ্যোগে। আয়োজকদের তরফে হরিশঙ্কর গায়েন বলেন, ” সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ আমাদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে বারবার।
তাই ম্যানগ্রোভকেও আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাই ম্যানগ্রোভের সঙ্গে একটা ভাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হল। ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলারা উপস্থিত ছিলেন।সুন্দরবনের(Sundarban) ইছামতি ও কালিন্দী ও রায়মঙ্গল ত্রিমোহিনী নদীর পাড়ে এই ভাই ফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়। রীতিমতো উলুধ্বনি দিয়ে , শঙ্খ ধ্বনি বাজিয়ে গাছকে ফোঁটা দেয় মহিলারা। এদিকে অনাথ পথ শিশুদের গন ভাই ফোঁটা মঞ্চে উঠলো বিশ্বকাপের উন্মাদনা। ভাই বোনের মেল বন্ধনে মিলেমিশে একাকার সব ধর্মের মানুষ ।উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে মহকুমার বসিরহাট পৌরসভা আট নম্বর ওয়ার্ড নবোদয় সংঘ ৭৫ বছরের এবার শ্যামা পুজোয় পদার্পণ করেছে। একদিকে আলোকসজ্জা অন্যদিকে সিকিমের চারধাম মন্দিরের আদলে এই পুজোর নজর কেড়েছে সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের অগণিতি মানুষের।
সারা বছর এই মহিলা সংগঠন সামাজিক কাজে দায়বদ্ধ রক্তদান স্বাস্থ্য শিবির থেকে দুষ্ট মেধাবির ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো তাদের মূল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে বসিরহাট(Bashirhat) মানুষের কাছে। গত চার বছর ধরে ক্লাবের সামনে শ্যামা পূজোর মঞ্চে শতাধিক অনাথ ও পথ শিশুদের ভাইফোঁটা দিয়ে আসছে। একটাই উদ্দেশ্য ভাই-বোনেরা যেন বুঝতে না পারে তাদের পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আর আজকের দিনটা তাদের কাছে অন্য পাঁচটা বছরের তুলনায় একটু আলাদা, কারণ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় । তাই এই ভাইফোঁটার মঞ্চে ভারত ফাইনালে উঠবে নির্দ্বিধায় চিৎকারে সেই কথা জানিয়ে দিল অনাথ শিশুরা । পুজোর উদ্যোক্তা কল্যাণ বসু, বলেন, আমাদের প্রতিবছর নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা মানুষের কাছে তুলে ধরেছি ।ক্লাবের সদস্যরা সবাই মিলেমিশে সারা বছর সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকি ।আমরা প্রত্যেকে স্বাবলম্বী।নিজেরদের যতটুকু অর্থ দেওয়া দিয়ে আমরা এই সংগঠন ধরে রেখেছি ।সামনের দিকে আরো বেশি যাতে মানুষের পাশে থাকা যায় তার জন্য আমরা এই কাজ করে যাব।