নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি ট্যাবলোকে ঘিরে এবার বিজেপি তথা মোদি সরকারকে নিজেদের দলীয় মুখপত্র থেকে তীব্র আক্রমণ শানলো তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-তে সম্পাদকীয় বিভাগে ‘নির্লজ্জ বিজেপি’ নামে যে সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে সেখানেই গেরুয়া শিবিরকে নেতাজি ট্যাবলো ইস্যুতে আক্রমণ শানানো হয়েছে। সেখানে সাফ লেখা হয়েছে, বিজেপি বাংলায় হেরেছে। সেই হারের জ্বালা ভুলতে এখন শুরু হয়েছে চক্রান্ত। বাংলার বিরুদ্ধে সেই চক্রান্ত করতে করতে কেন্দ্র সরকার এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে এবার দেশবরণ্য নেতা নেতাজির ট্যাবলো নিয়ে তাঁরা রাজনীতি শুরু করেছে। নেতাজির ট্যাবলো বাতিলের কোনও কারণ জানানো হয়নি। কেন বাতিল, কী জন্য বাতিল, কারণ কী, তা রাজ্যকে জানানো হয়নি। নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের বলেই কি তাঁর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করল কেন্দ্রের মোদী সরকার? ২০২১-এর মতো বাঙালি এই বঞ্চনারও সমুচিত জবাব দেবে বলে এদিন তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁর দল তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে মোদী সরকার তথা বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ শানানো হল। প্রশ্ন তোলা হল, নেতাজি সুভাষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের লোক বলেই কি তাঁর জীবনের উপর তৈরি করা পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ দেওয়া হল? পাশাপাশি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, নেতাজিকে এ ভাবে কোনও রাজ্য, দেশ, কালের মধ্যে আটকে রাখা যায় কি? সম্পাদকীয় স্তম্ভের শেষ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ২০২১-এর ভোটে বাংলায় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বাঙালি যে ভাবে মুখের উপর জবাব দিয়েছে, এ বারও তেমনই সমুচিত জবাব পাবেন তাঁরা। কারণ এর সঙ্গে বাংলা, বাঙালির আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, আত্ম অহং জড়িয়ে রয়েছে। একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের কাছে হার, বিজেপি এখনও হজম করতে পারছে না বলেই এই সব ‘চক্রান্ত’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।