নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘২১শে জুলাই(21she July) দিচ্ছে ডাক, বাম বিজেপি নিপাত যাক, নিপাত যাক, নিপাত যাক’। নাহ এবার আর শুধু এই শ্লোগান দিলেই চলবে না, বরঞ্চ মানতে হবে দলের বেশ কিছু নির্দেশ। কেননা কোভিড ও লকডাউনের জেরে বিগত দুই বছর ২১শের মহাপার্বণ অনুষ্ঠিত হয়নি। একুশের জয় এবার তাই উদযাপিত হবে বাইশের রাজপথে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েতে। জন্ম নেবে ইতিহাস। পথ বাতলে দেবেন বাংলার অগ্নিকন্যা। যে পথে বাংলার মানুষ, ভারতবর্ষের মানুষ হাঁটা দেবেন বিজেপির অপশাসনের অবসান ঘটাতে ঠিক যেমনটি বাংলার বুকে দেখা গিয়েছিল বাম অপশাসনের অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে। তাই আসছে দিন ২১শে জুলাই কলকাতায় ধর্মতলার বুকে হবে মহাজমায়েত। সেই জমায়েত যাতে সুশৃঙ্খলিত, আবেগতাড়িত হয় তার জন্য এখন থেকেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার দলীয় নেতৃত্বের জন্য ৯ দফা নির্দেশিকা জারি করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের তরফে জারি করা সেই ৯ দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দলের রাজ্য কমিটির পাঠানো সিডি অনুযায়ী সব ফ্লেক্স ও দেওয়াল লিখন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা দেওয়াল লিখন, ফ্লেস্ক হোক কী পোস্টার সব জায়গায় বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দ্বিতীয় আর কারও ছবি সেখানে দেওয়া যাবে না। ওই সব প্রচার করতে হবে নিজ এলেকার দলীয় সংগঠনের নামে, কোনও ব্যক্তির নামে তা করা যাবে না। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে, গ্রামে গ্রামে, বুথে বুথে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রচারসভা, কর্মীসভা, পথসভা করতে হবে। প্রতিটি বুথে কমপক্ষে ২টি করে দেওয়াল লিখন লিখতে হবে। উল্লেখ্য, এবারে যেহেতু ৩ বছরের ব্যবধানে একুশে জুলাইয়ের সভা হতে চলেছে তাই এ বারের একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রস্তুতি তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। তাই এই নির্দেশিকা মেনেই চলতে বলা হয়েছে হয়েছে জেলা থেকে শুরু করে বুথস্তরের নেতাদের।