এই মুহূর্তে

খালি অভিযোগ কেন্দ্র দেয় না, অথচ খরচই হয়নি ২,৬৪৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) শাসক দলের নেতামন্ত্রীরা, বিধায়ক-সাংসদেরা থেকেই থেকেই কার্যত নিত্যদিন অভিযোগ তোলেন যে, কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। নামমাত্র টাকা হাতে ধরাচ্ছে, ইত্যদি ইত্যাদি। এই সব অভিযোগ বিন্দুমাত্র মিথ্যা নয়। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও চূড়ান্ত সত্য যে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা খরচ করতেই পারেনি বাংলার ৫টি জেলার প্রশাসন। সেই টাকা তো ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেই সেই সঙ্গে আগামী অর্থবর্ষের ক্ষেত্রেও টাকা কম আসবে বাংলায়। নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ৫টি জেলার গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে মোদি সরকার(Modi Government) গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে(Rural Area Development Fund) পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মাধ্যমে ৪,১৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাস পার হওয়ার মুখে এসে দেখে যাচ্ছে ওই টাকার মধ্যে ২,৬৪৮ কোটি টাকা খরচই করা যায়নি।

আরও পড়ুন ‘দুয়ারে ব্যাঙ্ক’, ৩০০০ পদে লোক নিচ্ছে মমতার সরকার

ঠিক কী হয়েছে? গ্রামীণ উন্নয়নে অর্থ কমিশনের বরাদ্দের পুরোটাই মেলে কেন্দ্রীয় অনুদান হিসেবে। সেই টাকা খরচে গড়িমসি হলে পরবর্তী বছরগুলিতেও কমিশনের সুপারিশ করা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আদায়ে সমস্যা হয়। কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রতিটি জেলাকে জনসংখ্যার নিরিখে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রের তরফে পাওয়া যায় সেই টাকা। কোনও বছর খরচ কম হলে পরের বার বরাদ্দ যায় কমে। এই বরাদ্দ দুই খাতে থাকে – শর্তাধীন বা ‘টায়েড’ এবং নিঃশর্তাধীন বা ‘আনটায়েড’। শর্তাধীন তহবিলে গ্রাম পঞ্চায়েত অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ হয়। এই অর্থ ব্যয় করতে হয় পানীয় জল ও নিকাশি প্রকল্পে। বাকি ৪০ শতাংশ বরাদ্দ হয় নিঃশর্তাধীন তহবিলে। এই বরাদ্দ ব্যয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির স্বাধীনতা রয়েছে। অনুমোদন পেতে দু’ক্ষেত্রেই বছরের গোড়ায় পছন্দমতো প্রকল্প জমা দিতে হয়। তবে নিঃশর্তাধীন তহবিলের টাকাও খরচ করতে হয় মূলত গ্রামীণ পরিকাঠামোর বিকাশে, সমষ্টিগত উন্নয়নের স্বার্থে। বেতন, প্রশাসনিক বা পরিবহণ সংক্রান্ত কাজে কোনও পঞ্চায়েত এই অর্থ ব্যয় করতে পারে না।

আরও পড়ুন আবাস যোজনা থেকে শিক্ষা, পাট্টা প্রদানে সতর্ক নবান্ন

এখন জানা যাচ্ছে, রাজ্যে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের ২,৬৪৮ কোটি টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। চলতি আর্থিক বছরে এই তহবিল থেকে বরাদ্দ হয়েছিল ৪,১৮২ কোটি টাকা। গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পে অনুমোদন সত্ত্বেও ১,০৭৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। নিকাশি খাতে পড়ে আছে ৫৬৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। যার নেপথ্যে অন্যতম বড় ভূমিকা ৫টি জেলার খারাপ কাজ। এই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়া। পানীয় জল ও নিকাশির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে টাকা থাকার পরও কেন খরচ হচ্ছে না, সে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। অথচ জেলাশাসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার জন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এসবেই জেরেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কেন বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারছে না, তা জানতে আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পঞ্চায়েত আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলাশাসকদেরও থাকতে বলা হয়েছে সেখানে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১৪ বছর আগে শিলান্যাস, আজও বাস্তবায়িত হয়নি আমতা-বাগনান রেলপ্রকল্প

সন্দেশখালিতে ফের রাজনৈতিক পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ,সংঘর্ষ

হার নিশ্চিত দেখেই দিল্লিতে ছুট বিজেপি প্রার্থী বিস্তার

ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের

কাঁচড়াপাড়ার মুকুলের বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে গেলেন অর্জুন সিং

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর