নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি কর্মীরা(West Bengal State Government Employees) যখন বকেয়া DA’র দাবিতে আন্দোলন করছেন তখন রাজ্য সরকারও(West Bengal State Government) একের পর এক পদক্ষেপ করছে সরকারি অফিসগুলিতে কর্মসংস্কৃতি ও হাজিরা আরও জোরদার করে তুলতে। রাজ্যের সব সরকারি কার্যালয়ে হাজিরার ক্ষেত্রে Biometric Attendence Rules চলতি মাসেই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এবার আরও এক কদম এগিয়ে রাজ্যের সব সরকারি কর্মচারীদের Service Book Digitalised করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতার সরকার। এর জন্য রাজ্যের অর্থদফতর ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে E-Service Book তৈরি করার জন্য। এখন যে Physical Service Book-টি আছে সেটি কীভাবে E-Service Book-এ রূপান্তরিত করা হবে, তা জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এর জন্য নির্দিষ্ট Work Flow Chain- ও তৈরি করা হয়েছে। E-Service Book তৈরি হওয়ার সেটি HRMS পোর্টালে থাকবে।
আরও পড়ুন বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য কড়া নিয়মাবলী আনছে মমতার সরকার
নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, বাংলায় কর্মরত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের চাকরি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হল Service Book। চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এর মধ্যে নথিভুক্ত থাকে। জন্মতারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিতে যোগ দেওয়ার দিন থেকে অবসরের দিন এতে উল্লেখ থাকে। এছাড়া কর্মীদের ছুটির হিসেব, বেতন ক্রম, পদোন্নতি, বদলি, চাকরিজীবনে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে সেই সংক্রান্ত তথ্যও সেখানে লিপিবদ্ধ থাকে। Service Book নিয়মিত Updateও করা হয়। অবসর নেওয়ার পর Pension ও অন্যান্য প্রাপ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে Service Book’র গুরুত্ব অপরিসীম। এখন অফিসের মধ্যে সব কর্মীর Service Book Registrer রাখা থাকে। E-Service Book হয়ে গেলে এটি Online-এ থাকবে। ফলে Service Book হারানোর বা নষ্ট হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। E-Service Book তৈরির পর তা ঠিক আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্মী খতিয়ে দেখবেন। তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নেবেন। Service Book’র ঠিকঠাক হল কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।
আরও পড়ুন মমতার বাংলায় আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য চাকরির সংরক্ষণ চালু
তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অর্থদফতর E-Service Book তৈরি করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিলেও পুরো প্রক্রিয়াটি রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়নি। তবে সরকারি কর্মী মহলের বক্তব্য, E-Service Book তৈরির জন্য অফিসে আরও অনেক Computer, Scanner প্রভৃতির দরকার। অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপকরণ না থাকলে কাজ থমকে যাবে। সরকারি অফিসের বেশিরভাগ কাজকর্ম Computer’র মাধ্যমে। E-File’র মাধ্যমে সব কাজ করতে চাইছে সরকার। কিন্তু এর জন্য আরও Computer থাকা দরকার।
