নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শনিবার রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের ভোটগণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয় গতকাল। দেখা যায় ৪টি পুরনিগমই তৃণমূলের দখলে এসেছে। ওই ৪টি পুরনিগমের মধ্যে ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর তথা রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম আসানসোল। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমে মেয়র হবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু বাকি ৩ পুরনিগমের ক্ষেত্রে তিনি জানান, দলই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আর তা নেওয়া হবে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে ১০৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট আসানসোল পুরনিগমের মেয়র কে হবেন? ৯১টি আসনে জেতা তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে কে কে থাকছেন এই পদের জন্য এগিয়ে! সেই সব নামই এখন আসানসোল শহরজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছড়াচ্ছে জল্পনাও।
প্রাথমিক ভাবে ৪টি নাম আসানসোলের মেয়র পদের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রথম নামটিই যার তিনি হলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। ১৫ বছরের কাউন্সিলর ও প্রাক্তন মেয়র পারিষদ অভিজিৎ এখন বলতে গেলে সবার আগেই আসছেন মেয়র পদের দৌড়ে। বর্তমানে আবার তিনি আইএনটিটিউসি জেলা সভাপতির পদেও রয়েছেন। এরপরেই যার নাম ঘুরছে তিনি হলেন, বিদায়ী পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। অমরনাথ সাবেক ৫০ ওয়ার্ডের আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ছিলেন। পরে সেই পুরনিগম ১০৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট হয় কুলটি, জামুড়িয়া ও রানীগঞ্জ পুরসভার অন্তর্ভুক্তির জন্য। ২০১৫ সালের সেই নির্বাচনের পরে অমরনাথ পুরচেয়ারম্যান হন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুরপ্রশাসক পদে কর্তব্যরত ছিলেন অমরনাথ। প্রশাসনিক পদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তাঁর ২৫ বছরের কাউন্সিলর পদে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অন্যদিকে কুলটি পুরসভার ২০ বছরের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এই মেয়র পদের অন্যতম দাবিদার। তাই তিনিও আছেন দৌড়ে। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি পরাজিত হলেও পুরভোটে তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। পুরভোটে দলের আদি নেতাতেই ভরসা রেখেছিল তৃণমূল এমনটা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল উজ্জ্বল টিকিট পাওয়ায়। ভোটে জিতে কাউন্সিলর হওয়ার পরেও উজ্জ্বল দাম না পেলে যে বিজেপির দিকে পা বাড়াতে পারেন সেই অনুমান তৃণমূল নেতৃত্বের আছে। শেষ যে নামটি ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। বর্তমান তিনি তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতির পদে রয়েছেন। আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন হওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে তাঁর মেয়র পদপ্রাপ্তির। তবে একদম শেষ মুহুর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কাউকে তুলে এনে বড় চমক দিতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে।