নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: জল্পনাই সত্যি হলো। ‘হালাল’ শংসাপত্র দেওয়া খাবার ও ওষুধ নিষিদ্ধ করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শনিবার রাজ্যের খাদ্য কমিশনারের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যের কোনও দোকান, প্রতিষ্ঠান কিংবা শপিং মলে ‘হালাল’ লেখা কোনও পণ্য বিক্রি করা যাবে না।’ যদিও ‘হালাল’ শংসাপত্র পাওয়া পণ্য বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
হালাল হল একটি আরবি শব্দ। পশু বলির ইসলামিক রীতিকে হালাল বলা হয়। ইসলামী শরিয়াহ দৃষ্টিভঙ্গিতে এই পণ্য তৈরি কি না এবং এতে ইসলামে নিষিদ্ধ শূকরের রক্ত, মাংস, চর্বি, চামড়া বা মদ ও মাদক জাতীয় উপাদান আছে কি না, সেটা বিশেষভাবে খোঁজ নিয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে একাধিক সংস্থা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জমিয়তে উলামা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট, হালাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, হালাল ইন্ডিয়া (চেন্নাই)। গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের বাজারে হালাল শংসাপত্র দেওয়া খাবার ও পণ্যের চাহিদা বেড়ে চলেছে। মুসলিম ক্রেতারা (বিশেষ করে রক্ষণশীল মুসলিমরা) নিশ্চিন্ত মনে ‘হালাল’ লেখা খাবার ও পণ্য ক্রয় করেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও ‘হালাল’ শংসাপত্রযুক্ত খাবার ও পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
সম্প্রতি লখনউয়ের হযরতগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, অনেক সংস্থাই জাল ‘হালাল’ শংসাপত্র ব্যবহার করে মুনাফা লুটে চলেছে। মানুষের অন্ধ ধর্মবিশ্বাসকে হাতিয়ার করে কোটি-কোটি টাকা রোজগার করেছে। ‘হালাল’ লেখা পণ্যের কারণে অন্য সংস্থার একই উপদানে তৈরি পণ্য বিক্রি মার খাচ্ছে। ওই এফআইআর দায়েরের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, ‘হালাল’ লেখা খাবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই জল্পনাই সত্যি হলো।