আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ দাবদাহের সাক্ষী ছিল দিল্লি। ভেঙে গিয়েছিল ৪৭ বছরের পুরনো রেকর্ড। তার রিপিট টেলিকাস্ট দেখল জাপান (Japan )। বলা যেতে পারে, দিল্লিকেও (DelhI) ছাপিয়ে গেল জাপান। ভেঙে দিল ১৪৭ বছরের রেকর্ড।শুক্রবার রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (35 Celsius)। আর নাগোয়া শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে বেলা বাড়তে রাস্তাঘাট ফাঁকা। আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই পরিস্থিতিতে সেখানে বিদ্যুৎ সংকট (power crsis) তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে ফুকুসিমা (Fukushima) বিপর্যয়ের পর অধিকাংশ পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের সঙ্কট দেখা দেওয়া ফুকুসিমা-সহ (Fukushima) বন্ধ করে দেওয়া সব পারমাণবিক চুল্লি অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
পাশাপাশি করোনার (Corona) কারণে যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মাস্ক না ব্যবহার করার। জাপ মন্ত্রিসভার মুখ্য ক্যাবিনেট সচিব ( Deputy Chief Cabinet Secretary)সেইজি কিহারা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এই গরমে মাস্ক না পরাই বাঞ্ছনীয়। দুই ব্যক্তি কাছাকাছি থাকলে বা একটু ভীড় এলাকায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়ুন। তবে ফাঁকা জায়গায় মাস্ক না পরাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, তাতে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’গত বছরেও জাপান ভয়াবহ সাক্ষী ছিল তীব্র দাবদাহের।