নিজস্ব প্রতিনিধি: খাওয়া নিয়ে শিশুদের বায়নার শেষ নেই। তাঁরা কখনই ঠিকমতো খাবার খেতে চায় না। তাই সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণে শিশুদের শরীরে ভিটামিন এবং আয়রনের ঘাটতি লেগেই থাকে। যদিও শিশুরা চিনিযুক্ত খাবারই বেশি খেতে চায়। সেই কারণেই তাঁদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এদিকে শিশুদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে নানা লক্ষণ দেখা দেয়। তা না হলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের শরীরে ভিটামিনের অভাবের বুঝবেন কি করে?
ভিটামিন এ & বি কমপ্লেক্স: ভিটামিন এ-এর অভাব হলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এতে রাতকানা রোগ, চোখের সাদা অংশে কুঁচকে যায়, ঘন ঘন পেট বা বুকে সংক্রমণ হয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবে শিশুদের ক্ষুধা, দুর্বলতা, বিরক্তি প্রকাশ পায়।
ভিটামিন ডি : ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যে কারণে রিকেটস রোগের সৃষ্টি হয়। যাতে তাঁদের পায়ের হাড় বেঁকে যায়। তাই শিশুদের হাঁটতে এবং দাঁত উঠতে দেরি হয়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সাধারণত ভিটামিন ডি-এর অভাবে হয়। শিশুদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি, মনোযোগের অভাব, বিরক্তি, দুর্বল লাগা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এছাড়াও শিশুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের অভাব হলে মাংসপেশি ক্রাম্প হয়।
সমস্যার সমাধান
সবুজ শাক সবজি, পালংশাক, আমড়া, বেশিরভাগ সবুজ এবং হলুদ ফল, সবজি -যেমন, পেঁপে, আম, কুমড়া এবং গাজর, শক্তিশালী খাবার- ঘি, দুধ ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। ভিটামিন ডি-এর জন্য ডিমের কুসুম, মাখন, পনির, মাছ এবং মাছের তেল খাওয়া খুব দরকারি। এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি, দুধ, ডিম, মাংস, কলিজা এবং মাছ ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভালো উৎস। তাজা ফল, সবুজ শাক, অঙ্কুরিত ডাল,আমলকি এবং পেয়ারা ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস।