নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধীরে ধীরে বঙ্গে শীতের প্রভাব অনুভুত হতে শুরু করছে। শীতের মরসুমে(Winter) জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে অনেকটাই পরিবর্তন হয়। পোশাক-আশাক থেকে খাওয়া-দাওয়া পালটে যায় প্রায় সব কিছুই। শীতের মরসুমে গরম পোশাক যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমনই দিনের বেলা সেই সকল পোশাক রোদে দেওয়ার চলও আছে। আবার রাতে ঘরে ঠান্ডা হাওয়া আসা আটকাতে অনেকেই মোটা পর্দা ব্যবহার করেন। এবং এই পরিবর্তিত জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই এমন কিছু ভুল হয়ে যায় যা বাস্তুশাস্ত্র বিরোধী। তাই শীতের শুরুতেই কী করে বাস্তুশাস্ত্র (Vastu) মেনে সাজিয়ে তুলবেন আপনার বাড়ি রইল তাঁর কিছু টিপস (easy tips)।
১। বাস্তুশাস্ত্র মতে সূর্যরশ্মি সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায়। বাড়ির যে সকল জায়গায় সূর্যের আলো পৌছয় সেই সকল জায়গায় কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। বৈজ্ঞানিক মতেও সূর্যের আলোয় সমস্ত রোগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। তাই শীতকালে ঘরে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকা আটকাতে গিয়ে ঘরে রোদ আসা বা সূর্যের আলো আসা যেন আটকে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জানালায় মোটা পর্দা লাগাবেন না। জানালা খোলা রাখাই সবচেয়ে ভালো। তবু যদি জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় সেক্ষেত্রে জানালার কাঁচ দিয়ে যেন ঘরে আলো ঢোকে সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
২। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী শীতকালে বাড়িতে সাদা রঙের আলোর পরিবর্তে হলুদ আলো ব্যবহার করা উচিত। হলুদ রঙ উষ্ণ রঙ হিসেবে পরিচিত। তাই শীতকালে বাড়িতে হলুদ রঙের আলো লাগালে তা থেকে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায়। বিশেষত বাড়ির অন্ধকার অংশে হলুদ রঙের আলো লাগালে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়ে যায়।
৩। শীতকালে অনেকে বাড়িতে রুম হিটার লাগান। বাস্তুশাস্ত্র মতে এই রুম হিটার সবসময় বাড়ির অগ্নিকোণে লাগানো উচিত। তাতে বাস্তু সমস্যা দূর হয়ে যায়।
৪। শীতকালে বাড়ির দক্ষিণ দিকে লাল রঙের মোমবাতি জ্বালাতে পারেন। বাস্তু মতে বাড়ির দক্ষিণ দিকে লাল রঙের মোমবাতি জ্বালালে তা নেতিবাচক প্রভাব দূর করে এবং মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
৫। শীতকালে বাস্তুমতে বাড়ির রান্না ঘরে এমন খাবার রাখুন যা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ড্রাই ফ্রুটস, ছোলা, গুড় প্রভৃতি খাবার রান্না ঘরে রাখতে পারেন। এই সব খাবার থেকে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায় যা শীতকালে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।