নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি’র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকা সহ ৩ জনের। জখম অন্তত ৭। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) দেওয়া ডেডলাইন ছিল ১২, ১৪, ২১ ডিসেম্বর। প্রথম দু’টি ডেডলাইনে রাজ্য প্রশাসন বা তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়নি। আদালতও এমন কিছু রায় দেয়নি। এই ঘটনাতেই মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (DILIP GHOSH) আক্রমণ করেন শুভেন্দু’কে।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘তারিখ পে তারিখ’। আরও বলেন, ‘তারিখের রাজনীতি করি না’। এরপরেই শুভেন্দু’র নাম না করে ডেডলাইন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যে বলেছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন’। অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ১২ তারিখে রহস্য মৃত্যু হল বকটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। ১৪ তারিখ শুভেন্দু’র কম্বল বিতরণ সভায় অব্যবস্থার জন্য পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৩ জনের। এরপরে ২১ তারিখে আবার কী হতে চলেছে!’
হাজরার সভা থেকে শুভেন্দু নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপকে। তার জেরে বিজেপিতে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। রুষ্ট সঙ্ঘ পরিবার। ইতিমধ্যেই শিশিরপুত্রের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শুভেন্দু ডাক পাননি সঙ্ঘ- বিজেপি সমন্বয় বৈঠকেও। বিজেপি শিবিরে গুঞ্জন, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সফরেও ডাক পাবেন না শুভেন্দু।