-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:38 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যাওয়া ১০ জনকে উদ্ধার করেছেন মহম্মদ মানিক। বুধবার বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে গিয়েছিলেন পশ্চিম তেশিমলার বাসিন্দা মহম্মদ মানিক। পরিচিত মহসিন আলির সঙ্গে মাল নদীর বিসর্জন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব দেখতে গিয়েছিলেন তিনি ওই রাতে। কিন্তু রাত ৮টা নাগাদ আচমকা পাহাড়ের উপর থেকে জলের স্রোত নেমে আসে। সেই হড়পা বানে ভেসে যান অনেকে। সেই দৃশ্য দেখে নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে জলের স্রোতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মানিক।
পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি মানিক শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই বানে অনেক শিশু ভেসে যাচ্ছিল। সেদিকে তাকিয়ে আমার বাচ্চাটার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আর কোনওকিছু না ভেবে ঝাঁপ দিয়েছি।’ বুধবার রাতে যখন হড়পা বানে ভেসে যাচ্ছে শিশু, মহিলা-সহ বহু মানুষ। সেই সময় মানিক সঙ্গী মহসিনের হাতে নিজের মোবাইল ফোনটি দিয়ে উদ্দাম জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর টেনে তোলেন এক এক করে দুই শিশু, মহিলা ও পুরুষ-সহ মোট ১০ জনকে। মানিকের মতো স্থানীয় আরও বহু যুবক উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওইদিন। নিঃশব্দে সেদিন উদ্ধারকাজে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মেটেলির বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরিফুল ফরিদুল ইসলামও।
মহম্মদ মানিক তেশিমলা সমাজসেবী সংস্থার সদস্য। সমাজের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁকে সামনের সারিতে দেখা যায়। স্বেচ্ছায় রক্তদান থেকে শুরু করে গ্রামে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বা ডেঙ্গু সচেতনতা, সবেতেই সাবলীল তিনি। এহেন মানিক ১০ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও মনে একটা কষ্ট রয়ে গিয়েছে তাঁর। সবাইকে জল থেকে উপরে না তুলতে পারার জন্য। যদিও মাল নদীর উদ্দাম জলে ঝাঁপিয়ে পায়ে হালকা চোট হয়েছে মানিকের।