নিজস্ব প্রতিনিধি: মায়ের মাথা থেঁতলে খুন (MURDER) করল ছেলে। তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রক্তাক্ত দেহের কাছেই বসে থাকল। এমনটাই অভিযোগ। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার ধনকুড়া গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, মায়ের মাথা থেঁতলে দিয়ে খুন করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার (ARREST) করেছে পুলিশ (POLICE)। রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিমল পাল ও মণি পালের একমাত্র ছেলে অমর। পরিমল পেশায় রাঁধুনী। পর্যটকদের একটি দলের রাঁধুনী হয়ে তিনি ভিনরাজ্যে। বাড়িতে ছিলেন মা ও ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন চাষী কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁরা দেখতে পান, মণি পালের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝতে। আর তার পাশে বসে আছে ছেলে। বিষয়টি দেখে তাঁরা এলাকাবাসীদের জানান। ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। খবর দেওয়া হয় ছোড়া থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এরপর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সোমবার গভীর রাতে মায়ের মাথা মেঝেতে ঠুকে ঠুকে থেঁতলে দিয়েছে ছেলে। ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে অমর পালের মানসিক সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর পড়াশোনা করেনি। অল্পতেই খুব রেগে যেত সে। মাঝেমাঝেই মাকে মারত বলেও দাবি গ্রামবাসীদের। স্থানীয়দের আরও দাবি, প্রায় দেড় বছর আগেও একবার মণিকে বটি দিয়ে কোপাতে শুরু করে অমর। তখন স্থানীয়রা এসে মণি পালকে উদ্ধার করে। সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে মাঠের মাঝে বাড়ি করেছিলেন পরিমল পাল ও মণি পাল। মণি পাল খুনের ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।