নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট (Sylhet) বিভাগের বিভিন্ন জেলা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা (Government Officers)। কেননা, এখনও বহু এলাকায় মোবাইল পরিষেবা (Mobile Network) বিপর্যস্ত। ফলে মৃত্যু কিংবা ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রশাসনের কাছে এসে পৌঁছয়নি। এদিনই বন্যা দুর্গত সিলেট পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) শেখ হাসিনা (Sk. Hasina)। বন্যায় সর্বস্ব হারানোদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৮০ শতাংশ এলাকা জলের তলায়।
ভারতের অসম ও মেঘালয়ের অতি বৃষ্টির জল পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজারকে। শতাব্দীর অন্যতম বন্যায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ভয়াবহ বন্যার কারণে বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়নি। এদিন ফের পরিষেবা সচল হতেই প্রাণহানির খবর পৌঁছতে শুরু করেছে।
এদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের (Health Directorate) সিলেট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিমাংশু লাল রায় (Himangshu Lal Roy) জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মোট ২২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র সিলেটেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। হবিগঞ্জে পাঁচ ও মৌলভীবাজারে তিনজন মারা গিয়েছেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’