এই মুহূর্তে




‘দুর্গাপুজো করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে’, খুলনার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে ‘তোলা’ চেয়ে চিঠি




নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই। মুখে যতই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে জামায়াত নেতারা সম্প্রীতির কথা বলুন না কেন, বাস্তব চিত্র তার উল্টো। শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরে চলছে হিন্দু খেদাও ও হিন্দু নিধন যজ্ঞ। আর সেই নারকীয় যজ্ঞের অঙ্গ হিসাবেই খুলনার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার একাধিক দুর্গাপুজোর আয়োজকদের কাছে পৌঁছে উড়ো চিঠি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুর্গাপুজো করতে হলে প্রতিটি মন্দিরের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।’ পাশাপাশি তোলাবাজির কথা প্রশাসন বা সাংবাদিকদের জানালে ‘কচুকাটা’ করা হবে বলেও চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। অনেকেই ভয়ে পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা তথা বিশিষ্ট মৌলবাদী নেতা আফম খালিদ হোসেন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার থেকে খুলনার দাকোপের বিভিন্ন পুজো কমিটি ও মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে এই হুমকি চিঠি আসা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চারটি মন্দিরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দাকোপ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। দাকোপের কামারখোলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো উদযাপন কমিটির সভাপতি শেখর চন্দ্র গোলদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুজো না করে খুব ছোট পরিসরে পুজোর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উড়ো চিঠি পাওয়ার পরে কমিটির সদস্যরা আর পুজো করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ বছর আমাদের পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

দাকোপের কামারখোলার পাশাপাশি সুতারখালি, রামনগর ঠাকুরবাড়ি-সহ চারটি  মন্দিরে পাঠানো চিঠি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সব কয়টি চিঠির বয়ান একই। হলুদ খামের ওপর প্রাপক মন্দির কমিটির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের সভাপতি–সম্পাদককে উদ্দেশে এসব চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠির উপরের অংশে লেখা হয়েছে, ‘বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম’। তার পরে মূল চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘শোন, এবারে ২০২৪ সালে তোদের প্রত্যেক মন্দিরের পক্ষ থেকে চাঁদা দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। তা নাহলে তোরা কোনও ভাবেই পুজো করতে পারবি না। হানিফের প্রজেক্টে যেমন করেছি, তোদের পরিণতিও তেমন হবে’। সমুদয় টাকা (অর্থা‍ৎ ৫ লক্ষ টাকা) এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত রাখবি। তোদের কালিনগর বাজারে যেখানে দিতে বলবো, সেখানে দিয়ে যাবি। পরে জানাবো সেটা।’

প্রশাসন কিংবা সাংবাদিকদের পাঁচ লক্ষ টাকা তোলারর বিষয় জানানো হলে ‘কচুকাটা’ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এসব কথা যদি প্রশাসনমহল, সাংবাদিক কিংবা ভিন্ন কাউকে জানাস, তাহলে তোদেরর কচুকাটা করব, মনে রাখিস। তোদের পররিবাররও ররেহাই পাবে না। তোদের আশেপাশের সকল মন্দিরকেও গোপনে বলবি। সব মন্দিরের নাম আমরা জানিনা। প্রশাসন, সেনাবাহিনী-সব আমাদের কেনা। চালাকি করে কোনও লাভ হবে না। টাকা কিন্তু দিতেই হবে। আল্লাহর কসম, টাকা না পেলে তোদের কেটে টুকরো-টুকরো করব। তোরা আমাদের নজরে আছিস।’

পুজো কমিটি গুলির কাছে পাঠানো উড়ো চিঠির বিষয়ে দাকোপ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘ওই উড়োচিঠির বিষয়ে শুক্রবার চারটি মন্দির থেকে জিডি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আমাদের পক্ষ থেকে মন্দির সুরক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর টিমসহ আমরা থানা থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছি। গ্রাম পুলিশ ও ইউনিয়নভিত্তিক পুলিশ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

বাংলাদেশ :৫০ হাজার বেশি ধান দিয়ে গড়া হল দু্র্গা প্রতিমা

‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতলেন ইচ্ছা

কবর থেকে উঠে এসে হামলা! বাংলাদেশে মৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা

প্রেমের টানে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে কুমিল্লায় হাজির ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর